শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষাখাতের সামগ্রিক সংস্কারে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে এক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। একটি সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডসহ সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আমি আশা করি আমাদের ছেলে মেয়েরা খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর ও মনন গঠন করবে। মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে আমাদের ছেলে মেয়েদের বিরত রাখতে খেলাধুলা একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আজ বিকালে সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে ৪৮ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক এর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন এমপিওভুক্তির তালিকা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। শীগ্রই তা প্রকাশ করা হবে।
তার আগে মন্ত্রী সকালেসিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে, সিলেট বিভাগের ১৮ টি উপজেলার ৫২২ টি স্কুলের মিড ডে মিল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ লক্ষ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে তা চালু করা হবে। শিশুরা ক্ষুধার্ত থাকলে লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারে না। শিশুর মানসিক বিকাশে শিশুর পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ন।
মন্ত্রী সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে এ এসডিজি বাস্তবায়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ভুমিকা শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ও বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সকল শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে আদায়কৃত ক্রীড়া ও অ্যফিলিয়েশন ফি দ্বারা জাতীয় ক্রীড়া সমিতি পরিচালিত হয় এবং এই ক্রিড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তাই পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। (ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম-সিলেট-রাজশাহী-দিনাজপুর-যশোর-বরিশাল ময়মনসিংহ, মাদ্রাসা ও কারিগরি) প্রত্যেক বোর্ডের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের যে ০৯টি আঞ্চলিক অফিস আছে বোর্ডের সুবিধামত সে সকল অঞ্চলে জাতীয় পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতি বারের মত এবারও সারাদেশকে চারটি অঞ্চলে (চাঁপা, বকুল, গোলাপ, পদ্ম) ভাগ করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, সিলেট, বকুল অঞ্চল-এ ৪৮তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়ার আয়োজন করে।
৪৮তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যে সকল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
ইভেন্ট সমূহ :
০১. সাঁতার (ছাত্র-ছাত্রী) মোট = ২২টি ইভেন্ট
বালক-বালিকা-বড়/মধ্যম- মুক্ত, বুক, চিৎ, প্রজাপ্রতি সাঁতার। ১০৪ জন প্রতিযোগী (ছাত্র)
১০৪ জন প্রতিযোগী (ছাত্রী)
০২. ফুটবল-ছাত্র (চার অঞ্চলের ছাত্র) ৪ ঢ ১৬ = ৬৪ জন প্রতিযোগী
০৩. ফুটবল-ছাত্রী (চার অঞ্চলের ছাত্রী) ৪ ঢ ১৬ = ৬৪ জন প্রতিযোগী
০৪. হ্যান্ডবল-ছাত্র (চার অঞ্চলের ছাত্র) ৪ ঢ ১২ = ৪৮ জন প্রতিযোগী
০৫. হ্যান্ডবল-ছাত্রী (চার অঞ্চলের ছাত্রী) ৪ ঢ ১২ = ৪৮ জন প্রতিযোগী
০৬. কাবাডি-ছাত্র (চার অঞ্চলের ছাত্র) ৪ ঢ ১২ = ৪৮ জন প্রতিযোগী
০৭. কাবাডি-ছাত্রী (চার অঞ্চলের ছাত্রী) ৪ ঢ ১২ = ৪৮ জন প্রতিযোগী
সকল ইভেন্টে সর্বমোট প্রতিযোগী = ৫২৮ জন। (ছাত্র-২৬৪, ছাত্রী-২৬৪)
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়ায় শ্রেষ্ঠ ১ম,২য়, ৩য় (ক্রীড়া) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ২০১২ সাল থেকে অনুদান প্রদান করে হচ্ছে।
০১. জাতীয় পর্যায়ে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন প্রতিযোগিতায়- ১ম ১,০০,০০০.০০
০২. জাতীয় পর্যায়ে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন প্রতিযোগিতায় - ২য় ৭০,০০০.০০
০৩. জাতীয় পর্যায়ে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন প্রতিযোগিতায় - ৩য় ৫০,০০০.০০
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.