সংক্রমণ রোধ করতে মানুষকে ঘরে রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন, সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
নিজে, পরিবার এবং আশপাশের মানুষ সংক্রমণমুক্ত রাখতে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, দিনমজুরের পাশাপাশি কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়ে মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জীবন ঝুঁকি জেনেও মানুষের অসহায়ত্ব দেখে ঘরে বসে থাকেননি বেশকিছু রাজনৈতিক নেতা।
মানবিক নানা কর্মকাণ্ডে জনগণের পাশে নিজেকে মেলে ধরেছেন। এমনই চারজন রাজনৈতিক নেতার করোনা সংকটে মানবিক ভূমিকা নিয়ে লিখেছেন আসাদুজ্জামান আজম
মেলবন্ধন ধরে রেখেছেন বাহাউদ্দিন নাছিম
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বাংলাদেশ আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। করোনা সংকটে অনেক নেতা হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে গা ঢাকা দিলেও সামনের সারিতে ছিলেন এ নেতা।
করোনাকালেও প্রতিদিন বেশ কয়েকজন নেতা ধানমন্ডিস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসেছেন, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম বাহাউদ্দিন নাছিম। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগর, জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়নপর্যায়ের নেতাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন তিনি।
প্রতিটি জেলায় সরকারি এবং দলীয়ভাবে নেয়া ত্রাণ কার্যক্রমের মনিটরিং করেছেন। নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহ দিয়েছেন। কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে দিয়েছেন তাৎক্ষণিক নির্দেশনা।
ভার্চুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রায় সময়। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ব্যক্তিগতভাবে আয়োজিত মানবিক কার্যক্রমে উপস্থিত থেকেছেন।
আ.লীগ সভাপতির কারামুক্তি দিবস, সিনিয়র নেতাদের রোগমুক্তি ও করোনায় মৃতদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদের আয়োজনসহ দলীয় বেশকিছু কর্মসূচিও সামাজিক দূরত্ব মেনে পালিত হয়েছে নাছিমের নেতৃত্বে।
কঠিন এ দুর্যোগকালীন সময়ে ভুলে যাননি নিজ জেলা মাদারীপুরকে। বাহাউদ্দিন নাছিম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কালকিনিসহ বিভিন্ন এলাকায় মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জীবন ঝুঁকি জেনেও মাঠ ছাড়েননি নিখিল
মহামারি করোনা ভাইরাসের সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বাংলাদেশে ভাইরাসটির প্রার্দুভাব শুরুর পর থেকেই জীবন ঝুঁকি নিয়ে মানবিক নেতা হিসেবে মাঠে রয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশনা আসার পর যুবলীগের প্রতিটি মানবিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন এ যুব নেতা। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশনায় সারা দেশে যুবলীগের মানবিক কর্মযজ্ঞের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
গত সাড়ে চার মাসে করোনা সংকটে প্রতিদিনই রাজধানী ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের মাঝে সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেছেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক।
তার দক্ষ পরিচালনায় কেন্দ্রীয়, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগরসহ সব মহানগর, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট গত চার মাসের অধিক সময় ধরে অসহায় মানুষকে সহায়তা করে আসছে।
ইতোমধ্যে যুবলীগের মাধ্যমে সরাসরি সাড়ে ৪২ লাখ মানুষ খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঈদসামগ্রী এবং সুরক্ষাসামগ্রী পেয়েছেন আরও অন্তত ২০ লাখ মানুষ।
দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আসার পরপরই সারাদেশে যুবলীগকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মাঠে নামার আহ্বান জানান যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
করোনা ভাইরাসের শুরুতেই সারা দেশে জনসচেতনামূলক কার্যক্রম শুরু করে যুবলীগ। প্রতিটি ইউনিটে মাইকিং এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
৮ মার্চ করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি সুরক্ষাসামগ্রী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসল, সাবান, পিপিই বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
২৬ মার্চ অঘোষিত লকডাউন শুরু হওয়ার পর শুরু হয় খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি। করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সারা দেশে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
শ্রমজীবী, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, গার্মেন্টস শ্রমিক, বিভিন্ন কারখানা শ্রমিক, রিকসা-ভ্যানচালক, প্রতিবন্ধী, অন্ধ, বেদে সম্প্রদায়সহ অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, আলু, লবন, সবজি, দুধ) ও নগদ অর্থ মানবিক সহায়তা দেয়া হয়। এপ্রিল মাসজুড়ে মুদি পণ্যের সঙ্গে সবজি বিতরণ করা হয়।
শ্রমিক সংকটে অসহায় হয়ে পড়ে কৃষক। সারা দেশে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি তুলে দিয়ে মানবিকতার আরেক নিদর্শন দেখিয়েছে যুবলীগ। প্রায় ২৫শ হেক্টর জমির ধান কেটে কৃষকদের বাড়িতে তুলে দিয়েছে যুবলীগ।
এপ্রিল মাসের শুরুতেই ঢাকা মহানগরের রোগীদের যাতায়াতের সংকট বিবেচনা করে আওয়ামী যুবলীগ ২৪ ঘণ্টা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সে সার্ভিস চালু করে।
এরপর বিভিন্ন মহানগর ও জেলা-উপজেলাপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সে সার্ভিস চালু হয়। একই সঙ্গে করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের নির্বিঘ্নে জরুরি চিকিৎসাসেবা পেতে সাধারণ মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টা টেলি-মেডিসিন সেবা চালু করে যুবলীগ। বর্তমানের দুটি কর্মসূচি চালু আছে।
এছাড়া চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রাজধানীর হাসপাতাল, জেলা-উপজেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছে যুবলীগ। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী যুবলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। যুবলীগের কেন্দ্রীয় এবং দুই মহানগরের অধিকাংশ কর্মসূচিতে নিজে উপস্থিত থাকছেন। প্রতিনিয়ত সারা দেশের নেতাকর্মীদের মানবিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখতে মোবাইল ফোন ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে উৎসাহ দিচ্ছেন।
যুবলীগের এবং ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, যারা করোনার কারণে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন (হিজড়া, প্রতিবন্ধী, স্কুল ভ্যানচালক, বস্তিবাসী) তাদের অব্যাহতভাবে সহায়তা করছেন।
নিজ জেলা চাঁদপুর এবং রাজধানীর মিরপুরে ব্যক্তিগতভাবেও অসহায়দের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। চাঁদপুর উত্তর-দক্ষিণ উপজেলার হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী দিয়েছেন।
দুই উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে ঐতিহ্যবাহী খান পরিবার এবং নিজ উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।গত ঈদুল ফিতরের পূর্বে বধির প্রতিবন্ধী, অন্ধ, অটিজম, হিজড়াসহ অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ করেন এ নেতা।
জানতে চাইলে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘সততাই শক্তি, মানবতাই মুক্তি’— রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এ মন্ত্রকে ধারণ করে সুযোগ্য চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে যুবলীগ মাঠে আছে এবং সংকট না কাটা পর্যন্ত থাকবে।
কতটা ঝুঁকি নিয়েছি সেটা বুঝি না, শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব সেটাই বুঝি। যতদিন সুস্থ আছি জনগণের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
সবার পাশে থেকে করোনা জয় করেছেন নির্মল গুহ
করোনাকালীন সময়ে ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে থেকেছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। কৃষকের ধানকাটা, স্বাস্থ্যকর্মী, নেতাকর্মীসহ অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে গিয়ে মানবিক নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে মানবকল্যাণে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। প্রতিটি মানবিক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
করোনা ভাইরাসের শুরুতেই সারা দেশে জনসচেতনামূলক কার্যক্রম নিয়ে মাঠে নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সারা দেশে সংগঠনটির উদ্যোগে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, সুরক্ষাসামগ্রী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসল, সাবান, বিতরণ করা হয়। রাজধানীর ১০টিসহ সারা দেশে ২৫টি অ্যাম্বুলেন্সে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে সংগঠনটি।
এ পর্যন্ত এক হাজার ২৪০ জন অ্যাম্বুলেন্সসেবা গ্রহণ করেছেন। টেলি হেলথ মেডিসিনসেবা এখনো অব্যাহত আছে, সেবা নিয়েছেন ৯ তাজার ৫৪৫ জন। প্রায় ১০ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
পবিত্র রমজানে দেশব্যাপী অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার ও ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করে সংগঠনটি। দেশজুড়ে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে সহযোগিতা করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
সংগঠনটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু কয়েকটি স্থানে নিজেরাও ধানকাটায় অংশ নেন। করোনা রোগীর লাশ গোসল, দাফন, জানাজা ও সৎকার করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের টিম কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা ও মানবিক সেবায় নিয়োজিত ছিল স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
করোনা সংকটের মধ্যেও আম্পানের ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ছুটে যান নির্মল রঞ্জন গুহ। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা এবং দুই শতাধিক মানুষকে বস্ত্র সহায়তা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেব কলীগ। মুজিববর্ষে দেশব্যাপী পাঁচ লাখ বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি।
সংগঠনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন নির্মল রঞ্জন গুহ। ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জে ১৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেছেন। মসজিদ-মাদ্রাসায় সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি মানবিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নির্মল রঞ্জন গুহ। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে গত জুন মাসে তিন সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে এখন আবারো মাঠে নামতে শুরু করেছেন এ নেতা।
নিজেকে মেলে ধরেছেন শেখ আজগর নস্কর
করোনা সংকট মোকাবিলায় একজন করোনাযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা ভাইরাসের থাবায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। সংগঠনটির প্রতিটি কার্যক্রমে নিজে উপস্থিত থাকছেন।
সংগঠনটির উদ্যোগে প্রথমে রাজধানীসহ সারা দেশে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ, বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই ও সাবান বিতরণ করা হয়।
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে তথ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুইশতাধিক পিপিই দেন শেখ আজগর নস্কর। এরপর সাধারণ ছুটি শুরু হলে শুরু হয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। সরকারের পাশাপাশি সারা দেশে মৎস্যজীবীসহ কর্মহীন মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেন শেখ আজগর নস্কর।
সংগঠনের পক্ষেও গত চার মাসে কর্মহীন মানুষকে সহায়তা দেয়া হয়। সংগঠনের প্রতিটি কর্মসূচির উদ্যোগ এবং বাস্তবায়ন পর্যন্ত নিজে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন।
মোবাইল এবং ভার্চুয়াল মাধ্যমে মহানগর ও জেলা নেতাদের মানবিক কাজে উদ্ধুব্ধ করেন। কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখে সংগঠনটির নেতারা। যার নেপথ্যের চালিকাশক্তি ছিলেন শেখ আজগর নস্কর।
জানতে চাইলে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় নেত্রীর নির্দেশে আমরা শুরু থেকেই মাঠে কাজ করছি। সুরক্ষা এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। নেতাকর্মীদের সব সময় খোঁজখবর রাখছি
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.