বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আব্দুছ ছবুর খান কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে মূখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-এর রোগতত্ত ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।
আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, রেজিস্ট্রার ড. মোয়াজ্জম হোসেন, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী সচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশ-এর অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার মো. আতাউর রহমান (মাসুদ)।
এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. আব্দুছ ছবুর খান ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমানে চটকদার বিজ্ঞাপন, নাটক, সিনেমা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণপ্রজন্মকে ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট করছে। এ বিষয়ে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন হতে হবে।
তিনি ধূমপান ছাড়তে ইচ্ছাশক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, একটি সিগারেটের দামে এক গ্লাস দুধ কিংবা একটি কলা বা একটি ভালো মানের চকল্টে পাওয়া যায়। এখন আপনি সিগারেট না দুধ, কলা কিংবা চকলেট কিনবেন এটা ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে। এই ইচ্ছাশক্তি তথা আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ধূমপান থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
কর্মশালার মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা এনেছিলেন তাদের বেশির ভাগই তরুণ প্রজন্ম। তারা স্বাাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে পেরেছিলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনও তাই ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনা বাড়াতে তরুণপ্রজন্মকে নিয়ে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই কর্মশালা আয়োজন।
কর্মশালায় অংশ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীরা তামাক ও ধূমপানের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি করা রঙ- বেরঙের পোস্টার প্রদর্শন করেন। সবশেষে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মশালা শেষ হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.