বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক মাহফুজ উল্লাহর প্রথম জানাজা রোববার জোহর নামাজের পর গ্রিনরোড ডরমিটরি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
পরে বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হযেছে।
এর আগে শনিবার রাত পৌনে একটার দিকে তার লাশ থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। মাহফুজ উল্লাহর লাশ তার মোহাম্মদপুর বাসায় রাখা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টা পাঁচ মিনিটের দিকে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
গত ২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মাহফুজ উল্লাহকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। তাকে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।
পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল (বুধবার) রাত ১১টা ৫২ মিনিটে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে তার অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে ডা. মেঘলা ও জামাতা ছিলেন।
দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করা মাহফুজ উল্লাহ ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা ছাড়া খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। পরে তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গেল ২১ এপ্রিল মাহফুজ উল্লাহ মারা গেছেন- গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে তার ছোট মেয়ে জানিয়েছিলেন তিনি বেঁচে আছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.