প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৩, ২০২৫, ২:৪৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২১, ২০২০, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে বৈঠক আগামীকাল।

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে আগামীকাল (বুধবার) জরুরী সভা ডেকেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ (মঙ্গলবার) মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, রাজউক, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, বিআরটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই সভায় যোগদান করবেন। এ সময় সকল পক্ষের মতামত নিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উজান থেকে আসা পানির প্রবাহ বেশি থাকায় নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে ঢাকা নগরী থেকে সুইচ গেটের মাধ্যমে স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক উপায়ে পানি বের করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই গেটগুলো খুলে দিলে নগরী থেকে পানি বের না হয়ে নদ-নদীর পানি ঢাকা শহরে প্রবেশ করবে। এতে জলাবদ্ধতা আরো বাড়বে। তাই শুধু পাম্পিং (আর্টিফিশিয়াল পদ্ধতি) করে পানি বের করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসার তিনটি পাম্পিং স্টেশন কমলাপুর, রামপুরা এবং কল্যাণ পুর থেকে ১৭ টি পানির পাম্পসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনেক গুলো পানির পাম্প দিয়ে শহর থেকে সেচের মাধ্যমে পানি বের করা হচ্ছে।
প্রতিটি পাম্প দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫ হাজার লিটার পানি বের করা সম্ভব হচ্ছে যা অতিমাত্রায় বর্ষণের ফলে জমানো পানির তুলনায় অনেক কম। সেজন্য নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সাময়িক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বলেও জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার সমস্ত জলাশয়গুলোতে পানির ধারণ ক্ষমতা ও প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের নদ-নদী গুলো ড্রেজিং করে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই এবং এ নিয়ে তাঁর মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান মোঃ তাজুল ইসলাম।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.