রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের বিপিএল শুরু করেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। তারপর আরও তিন ম্যাচ খেলে সবগুলো জিতেছিল গতবারের রানার্সআপরা। কিন্তু রাজশাহীর বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের দেখায় এই আসরে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল সাকিব আল হাসানের দল। ২০ রানে জিতেছে রাজশাহী।
টানা পঞ্চম জয়ের জন্য ১৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯ উইকেটে ১১৬ রান করে ঢাকা। তার আগে রাজশাহী ৬ উইকেটে করে ১৩৬ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লক্ষ্যে নেমে শুরুতে বড় ধাক্কা খায় ঢাকা। দ্বিতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন সুনীল নারিন। তারপর টানা দুই ওভারে আরও দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা।
এই ক্ষত আর সেরে ওঠেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। আরাফাত সানির দুর্দান্ত বোলিংয়ে অদম্য দলকে প্রথমবার হার মানায় রাজশাহী। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
ঢাকার পক্ষে নুরুল হাসান সর্বোচ্চ ২১ রান করেন। রাজশাহীর জয়ে মিরাজ নেন দুটি উইকেট। একটি করে পান মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও ইসুরু উদানা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। শাহরিয়ার নাফীস ও মেহেদী হাসান মিরাজের উদ্বোধনী জুটি আন্দ্রে রাসেল ও রুবেল হোসেনের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ২ রান তোলে।
রাসেল তার দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজকে ১ রানে কিয়েরন পোলার্ডের ক্যাচ বানান। ১১ বল খেলেন রাজশাহী অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে নামেন মার্শাল আইয়ুব, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর এটা তার প্রথম বিপিএল ম্যাচ।
বিপিএলে ফেরার ম্যাচ অবশ্য নিজের মতো করে রাঙিয়ে নেন মার্শাল। নাফীসকে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। তবে ১২তম ওভারে নারিনের জোড়া আঘাতে দুজনই বিদায় নেন। নাফীস ২৫ রানে আউট হওয়ার পর মার্শাল টিকতে পারেননি। ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ রান করেন তিনি।
তারপর রায়ান টেন ডেসকাটের সঙ্গে জাকির হাসানের ৩৮ রানের জুটি ছিল সর্বোচ্চ। ডেসকাটকে ১৬ রানে নিজের তৃতীয় শিকার বানান নারিন। ২০ রানে আলিস ইসলাম ফেরান জাকিরকে। রাজশাহীর পক্ষে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
এই ম্যাচ শেষেও শীর্ষে থাকছে ঢাকা। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট তাদের। ষষ্ঠ ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী আছে চার নম্বরে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.