বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) এবং পাসপোর্ট প্রদানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে জড়িত জনপ্রতিনিধিরা পুলিশ ও দুদকের জালে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০ জনসহ সন্দেহভাজন ১৫ জন প্রতিনিধির নাম পাওয়া গেছে। যারা রোহিঙ্গাদের জন্মবিন্ধন ও নাগরিকত্ব সনদ দিয়েছেন কিংবা পাসপোর্ট বানাতে বাংলাদেশি হিসেবে সনাক্ত করেছেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে দেড়শ পাসপোর্ট আবেদনকারিকে রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করা হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে শনাক্ত হয় ৩৭ জন। আর ভোটার হয়েছে অন্তত ৩ হাজার রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাকে জন্মনিবন্ধন এবং জাতীয়তা সনদ দেন মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা। পাসপোর্টের জন্য নাগরিক হিসেবে সনাক্তকরণেও থাকে তাদের ভূমিকা।
এনআইডি জালিয়াতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, জড়িত জনপ্রতিনিধিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে ১৫ জনকে শনাক্তের কথা জানিয়েছে দুদক।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের সহযোগীতা প্রদানকারী দালালদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের কাগজপত্র প্রস্তুতের যাবতীয় বিষয়াবলীতে দালালরা জড়িত।
দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, কারো পাসপোর্ট কিংবা জাতীয় সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিস্তারিত তথ্য সঠিক ভাবে জেনে নেয়া প্রয়োজন। যিনি এই সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরন করবেন না তিনি দায়ভার এড়াতে পারেন না।
আইনের আওতায় আনা গেলে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া বা পাসপোর্ট তৈরির মতো অনিয়ম অনেকটা রোধ হবে, যোগ করেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.