বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : করোনা, ভাঙন, বন্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে শরীয়তপুর জেলার কয়েক লাখ মানুষের। ভাঙনের আতঙ্ক সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়িঘর। ভাঙন কবলিত প্রায় ৩ শতাধিক বাড়িঘর রাস্তার পাশে আবার পানির মাঝখানে রাখা হয়েছে। বাড়িঘর তোলার মত জায়গা না থাকার কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক।
শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমলেও প্লাবিত এলাকার বন্যার পানি কমেনি। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বেশিরভাগ গ্রাম্য রাস্তাঘাট পানির নিচে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকলে ও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় সুরেশ্বর দরবার শরীফ বাঁধের ৫৫ মিটার, চরআত্রা নওপাড়া এক কিলোমিটার, জাজিরার নাওডুবা ৮০ মিটার,ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া ৩০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে ইতোমধ্যে সুরেশ্বর পয়েন্টে ৪২ হাজার, চরআত্রা নোয়াপাড়ায় প্রায় ৪ লাখ, জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক ডাম্পিং করা হয়েছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও আশেপাশে ভাঙন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০০৭ ও ২০১২ সালে ৩টি প্যাকেজে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.