রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আদর্শের সূচনাটি হয়েছিল পিতা মোফাজ্জল হোসেন খানের কাছ থেকে যিনি ছিলেন মতলব-উত্তর চাঁদপুরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার সম্ভ্রান্ত খান পরিবারের সদস্য। এই পরিবারটি দেশ স্বাধীনতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পিতা মরহুম মোফাজ্জল হোসেন খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদ অলঙ্কিত করেছেন নিষ্ঠার সাথে। সেই ধারাবাহিকতা অদ্য পর্যন্ত আওয়ামী আদর্শের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন খান পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্মের উত্তরসূরি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যার রাজনৈতিক আদর্শের গভীরে রয়েছে বাঙ্গালী জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং গণতন্ত্রের মুক্তিবাহক জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা।
আজকের মাইনুল হোসেন খান নিখিলের রাজনৈতিক সফলতার পিছনের গল্পটা অন্যরকম। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সৈনিক। শত পুলিশী নির্যাতন, কারাবরণ দমিয়ে রাখতে পারেনি নিখিলকে। দলের দুর্দিনে যুবলীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে থেকে যুবলীগকে করেছিলেন সুসংগঠিত। রাজনৈতিক সূচনা ৮০ দশকে লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাবেক ৯ নং ওয়ার্ড (বর্তমান ১৩ নং ওয়ার্ড) যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে সাধারণ সম্পাদক ও ২০১২ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২৩ নভেম্বর ২০১৯ইং তারিখে ৭ম কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
মাইনুল হোসেন খান নিখিল একজন রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বই শুধু নন, মানবিক গুণাবলির অনন্য উদাহরণও। তিনি চাঁদপুর ও ঢাকার বিভিন্ন এতিমখানা, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সমাজ সেবায়ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত আছেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের দায়িত্ব প্রাপ্তির পূর্ব হইতে তিনি যুব আন্দোলন এবং যুব উন্নয়ন নিয়ে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তার ভাষ্যে, “যুবকরা দেশের প্রাণ, উন্নয়নের হাতিয়ার”।
ব্যক্তি জীবনে মাইনুল হোসেন খান নিখিল দুই পুত্র সন্তানের জনক। ১৯৯৭ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা মমতাজ বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি সাত বোন, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সেজো। ১৯৭৯ সালে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন পরবর্তীতে তিনি বগুড়া’র শাহ সুলতান ডিগ্রী কলেজ থেকে বি.এস.এস ডিগ্রী অর্জন করেন ।
২৭ জুন মাইনুল হোসেন খান নিখিলের জন্মদিন। প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে শুভেচ্ছা। তাঁর “যুব উন্নয়ন কর্মসূচী” সর্বদা দিশারী হয়ে বহমান থাক এমই প্রত্যাশা।
লেখক: জয়নাল আবেদীন চৌধুরী
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.