মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনাকে আলোকবর্তিকা ধরে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। কন্টকাকীর্ণ পথে শেখ হাসিনাই আমাদের পাথেয়।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জনতার প্রত্যাশা-এর উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। ইতিহাসের ক্রমবিবর্তনের আকাঙ্খার প্রতিভূ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জাতির জনকে পরিণত হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিতে পরিণত হয়েছিলেন। ৭৫’ এর পর ৮১’ তে শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে ত্রিশ লক্ষ শহিদের আকাঙ্খা ধ্বংস হতো, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সাজানো নৈবেদ্য বাস্তবায়ন হতো না।”
শ ম রেজাউল করিম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যারা বিশ্বাস করেন তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, দৃঢ়তার সঙ্গে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে হত্যার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। এই ক্রান্তিকাল আমাদের এখনো যায় নি। এরকম ক্রান্তিকাল আমাদের প্রতিনিয়ত অতিক্রম করতে হয়।”
সাহারা খাতুন এবং মোহাম্মদ নাসিমের মতো নেতারাই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “ক্রান্তিকালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো নেতা-কর্মী খুব বেশি থাকে না। ত্যাগী ও পরিক্ষীত নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রে এমনভাবে মুগ্ধ যে সে ঐন্দ্রজালিক সম্মোহিত শক্তি থেকে তাদের কেউ বের করে আনতে পারেনা।
সে জায়গায় ছিলেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং মোহাম্মদ নাসিম। তারা রাজনীতির জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ব্যক্তি জীবনেরে সুখ, ভালোবাসা, উচ্ছ্বাস, বিত্ত-বৈভব তাদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের অনেকের স্খলন ঘটলেও এই দুই নেতার কোনদিন স্খলন ঘটেনি।”
জনতার প্রত্যাশা-এর সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ নুরুল আমিন রুহুল এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দিলীপ কুমার রায় এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.