ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যে দিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর্দা নামনো।
বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায় ঘটেছে এই মাসের ৫ তারিখ। ভারত ম্যাচের পর। তবে তারপরেও বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের কাছে ফাইনালের মহত্ব কমেনি এতটুকুন। অবশ্য ফাইনাল না বলে ফাইনাল পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কথা বললে আরো স্পষ্ট হবে। বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে বিশ্বকাপ কে জিতলো সেটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট সেরা কে হল।
তাঁর পারফরমেন্সে কেউ তাকে বিশ্বকাপের মঞ্চে বলেছেন আয়রন ম্যান কেউবা বলেছেন ওয়ান ম্যান আর্মি। তবে, বাংলাদেশের সমর্থকদের মুখে মুখে হয়ে উঠেন সুপার ম্যান। হ্যাঁ সাকিব আল হাসান। তাঁর মন্ত্রমগ্ধকর পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষ দগ্ধ আর সবাই হয়েছে মুগ্ধ।
বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও, ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন ব্যাটিংয়ে ৬০৬ রান আর একবার ৫ উইকেট সহ মোট ১১ উইকেট শিকারি সাকিবই হতে যাচ্ছেন এবারের বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার।
অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক ম্যানিন্দা ফেরাল বলেন, ‘অবশ্য আমার দৃষ্টি সাকিব টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার হবার দৌড়ে সবার চেয়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে। পুরো টুর্নামেন্টে আপনি দেখুন সাকিব যতোটা ধারাবাহিক অন্য কেউ কি এতোটা ছিলো। হ্যাঁ, রহিত শর্মা দারুণ ব্যাট করেছে। কিন্তু, ৬০৬ রান সাথে ১১ উইকেট নিয়ে সাকিব এগিয়ে আছে। তাই উইলয়ামসন আর জো রুট ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরি না করলে, সাকিবই হতে পারে টুনামেন্টের সেরা ক্রিকেটার।’
আর ফাইনালে সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উইলিয়ামসন এবং রুট ব্যর্থ হওয়ায় এটা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল যে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিবের হাতেই উঠতে যাচ্ছে ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্টের খেতাব।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সাকিব আল হাসান রেকর্ড বিশ্বকাপের এক আসরে সব্বোচ্চ তিন বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন।
কিন্তু শেষ মুহুর্তে সাকিবকে দেওয়া হলো না ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট বা বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়ারের পুরস্কার। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়ার হলেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন।সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সেমি ফাইনালে আনার সুবাধেই তিনি এ পুরস্কার পান। দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাটিংয়েও ঝলক দেখিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে তিনি করেছিলেন ৫৭৮। পুরো বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্ম করে টুর্নামেন্ট সোরার পুরস্কার জিতে নিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
পুরো টুর্নামেন্টে ১০ ইনিংসে ব্যাট হাতে ৫৭৮ রান করেছেন তিনি। যেখানে দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ছিল দুইটি ফিফটি। রান খুব বেশি মনে না হলেও দলের প্রয়োজনে রান করে দলকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭৯, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৬ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৪৮ রান তোলেন নিউজিল্যান্ডের এই অধিনায়ক। বল হাতেও নিয়েছিলেন ১টি উইকেট।
টুর্নামেন্টে সেরা হওয়ার দৌড়ে উইলিয়ামসন পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে আট ম্যাচে ৬০৬ রান ও বল হাতে ১১টি উইকেট নিয়েছেন। বাংলাশের প্রথম দুটি জয়ের একটিতে সেঞ্চুরি করেছেন, একটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়া সিরিজ টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন ভারতের হয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পাচঁ পাচঁটি সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মাই। তিনি ৯ ম্যাচে মোট ৬৪৯ রান করেন।
সমান ম্যাচে ৬৪৮ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। তার স্বদেশি মির্চেল স্টার্ক ১০ ম্যাচে ১৮.৫৯ গড়ে ২৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। চার ও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুবার করে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.