বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক :সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) চতুর্থ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ওয়াসিম আব্বাসের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মৌলভীবাজার ১নং আমলগ্রহণকারী আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বাহাউদ্দিন কাজী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার ওই আদেশের কপি সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞ বিচারকের লাশ উত্তোলনের ওই আদেশে বলা হয়, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগক্রমে ভিকটিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজেষ্ট্রেট। একই সাথে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের পর ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে পুনরায় কবরস্থ করা পর্যন্ত সামগ্রিক কাজে পুলিশ প্রহরার জন্য হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকেও নির্দেশ দেওয়া হয়। আর সমস্ত কাজের সমন্নয় করে এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার এস আই গিয়াস উদ্দিন খান।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহাম্মদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন খান জানান, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন উদার (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-১২৮০) পরিবহনের বাস চালক জুয়েল আহমদ (২৬), হেলপার মাসুক মিয়া (৩৮)। মামলার এজাহারের বর্ণিত পুরোটাই স্বীকার করেন তারা। সোমবার রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই গিয়াস উদ্দিন খান জানান, মামলার প্রাথমিক অগ্রগতির সকল কাজই দ্রুত এগিয়ে চলছে। রিমান্ডে থাকা দুই আসামির কাছ থেকে ঘটনার অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তারা। বিজ্ঞ আদালত সুষ্টু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে ভিকটিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এখন সে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। আর মামলার এজাহারে উল্লেখিত পলাতক আসামি সুপারভাইজার শেফুল মিয়াকে (৩৬) আটকেরও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চ শেরপুর পয়েন্টে ভাড়া নিয়ে কথাকাটির জেরে উদার পরিবহনের চালক, হেল্পার ও সুপারভাইজার মিলে পরিকল্পিতভাবে বাস থেকে ফেলে ওয়াসিম আব্বাসকে হত্যা করে। সাথে থাকা ওয়াসিমের সহপাঠীরা দ্রুত তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর ওয়াসিম আব্বাসের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই কবরস্থ করা হয়। ওয়াসিমের বাবা মো. আবু জাহের মাহবুব ঘোরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিলেটের অনুমতিক্রমে ওয়াসিমের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়ায় গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রগ্রামে কবরস্থ করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.