বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : গত কয়েকদিনের টানা অচলাবস্থার পর কাশ্মীরে মোবাইল-ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়েছে। তবে ব্যাপক সেনা উপস্থিতি এবং কারফিউয়ের কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কাশ্মীরের সবচেয়ে বড় জামা মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হলেও সেনা সদস্যদের কড়া প্রহরায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছে সেখানকার মানুষ।
ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার জুমার নামাজ উপলক্ষ্যে মানুষের চলাফেরায় দেয়া নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শীথিল করা হয়। এএফপি, রয়টার্স আর বিবিসি বলছে, সেখানকার সাধারণ মানুষ কড়া নিরাপত্তা বেস্টনীর মধ্যে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
জুমার নামাজ আদায়ে মানুষকে অনুমতি দেয়া হলেও আশপাশের মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে যেতে দেয়া হচ্ছে না। অথচ সেখানকার জামা মসজিদে দূর-দূরান্ত থেকে সেখানে জুমার নামাজ আদায় করতে যায় মানুষ।
গত ৫ আগস্ট সংবিধানে পাওয়া কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে মোদি সরকার। আর কাশ্মীরিরা যাতে এর কোনো প্রতিবাদ করতে না পারে তাই সেখানে নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেখানকার মানুষ এখন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ।
মোদি সরকারের মাস্টারে প্ল্যানের কাছে হেরে বিক্ষোভে ফুঁষে উঠেছে কাশ্মীর মানুষ। কারফিউ জারি থাকার কারণে সেখানে মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না। এ ছাড়া সেখানকার সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী এবং পাঁচ শতাধিক প্রভাবশালী স্থানীয় নেতাসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম সামরিকায়িত এলাকাগুলোর একটি কাশ্মীর। ভারতীয় সংবিধোনের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এতদিন কাশ্মীর প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া কোনো কিছুতেই ভারতীয় আইন মানতে বাধ্য ছিল না। কিন্তু মোদি তা বাতিল করেছে। এ ছাড়া রাজ্যের মর্যাদাও হারিয়েছে কাশ্মীর।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.