পরিক্রমা ডেস্ক : স্টক এক্সচেঞ্জ সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ১০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে ৩,১৬৮,০৮০ মিলিয়ন টাকা বাজার মূলধন নিয়ে ডিএসই’র ট্রেডিং প্লাটফর্মে বহুল প্রতিক্ষিত ২-২০ বছর মেয়াদী ২৫০টি সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনের শুরু হয়৷ যা পুঁজিবাজারের এক নতুন অধ্যায়৷
সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনকে গতিশীল করণের লক্ষে ধারাবাহিক কমসুচির অংশ হিসেবে আজ ৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ট্রেক হোল্ডার কোম্পানির অপারেশন প্রধান এবং অনুমোদিত প্রতিনিধির অংশগ্রহণে “স্টক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজ এবং ট্রেডিং সম্পর্কিত” বিষয়ের ওপর এক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার মূলত ইক্যুইটি ভিত্তিক মার্কেট। আমরা এক্সচেঞ্জে ইক্যুইটির পাশাপাশি ডেট সিকিউরিটিজ বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি। ডেট সিকিউরিটিজের সাথে ইক্যুইটি সিকিউরিটিজের কিছু পার্থক্য রয়েছে। এখানে কিছু সচেতনতা অভাব ও জ্ঞানের স্বল্পতা রয়েছে। যারা পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সেবা প্রদান করছে তারা যদি বিষয়গুলো সঠিকভাবে না জানে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের বিষয়গুলো সঠিকভাবে বর্ণনা করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল মিলে পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু করেছে। পুঁজিবাজার যতক্ষণ পর্যন্ত ইক্যুইটি প্রোডাক্টের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী ডেট প্রোডাক্ট না দিতে পারবো ততোক্ষণ পর্যন্ত বাজারে ভারসাম্যের ঘাটতি থেকে যাবে।এখন তালিকাভুক্ত কর্পোরেট বন্ডের সংখ্যা অনেক কম। বর্তমান দুইভাবে বন্ড ইস্যু করা হয়। প্রথমটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে, দ্বিতীয়টি আইপিও এর মাধ্যমে। আইপিও’র মাধ্যমে ইসু্কৃত বন্ডগুলো প্রচারণার অভাবে আশানুরুপ সাবস্ক্রিপশন হচ্ছে না। বন্ড মার্কেটকে দ্রুত প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ডেট প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে কাস্টমারদের বুঝাতে হবে। আপনাদের দায়িত্ব হবে আজকের অনুষ্ঠানে যে বিষয় আলোচনা করা হবে তা সঠিকভাবে নিজে বুঝে বিনিয়োগকারীদের বুঝাবেন। আর এর মাধ্যমেই দ্রুত বন্ড মার্কেট প্রসারিত হবে।
পরে সরকারি সিকিউরিটিজের ট্রেডিং প্রসেসের উপর বিভিনন বিষয়ে প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন- ডিএসইর হেড অব সিস্টেম অ্যান্ড মার্কেট এডমিন এ. এন. এম. হাসানুল করিম, মার্কেট ডেভেলপমেন্টের বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার কামরুন নাহার এবং সিএসই ডিজিএম অ্যান্ড হেড অব আইটি সার্ভিস হাসনাইন বারী৷ পরবতীতে সরকারি সিকিউরিটিজের ট্রেডিং প্রসেসের ওপর প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের এডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সিডিবিএল এর জিএম অ্যন্ড হেড, সিডিএস অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং এর মনিরুল হক, ডিএসইর হেড অব সিস্টেম অ্যান্ড মার্কেট এডমিন এর এ.এন.এম. হাসানুল করিম, ডিএসই’র প্রডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্টের প্রধান সাইদ মাহমুদ জুবায়ের এবং সিএসইর হেড অব আইটি মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন৷
পরে সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম ফারুক সমাপণী বও্যব্যের মাধ্যমে সরকারী সিকিউরিটিজের ট্রেডিং সম্পর্কিত সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন৷
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.