নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন করতে হলে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন বিধিমালার দ্রুত জারি ও বাস্তবায়ন। এবিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কর্যালয়ের মিলনায়তনে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২’ ও ‘ওয়ার্ল্ড ডে অফ রিমেম্বারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস-২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যেগে মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ.বি.এম আমিন উল্লাহ নুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন এবং গ্লোবাল হেলথ্ এডভোকেসী ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এ.বি.এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, সড়কে সরকারি নির্দেশনা মেনে চললে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা সড়কে আর দুর্ঘটনা দেখতে চাইনা। সড়ক হোক নিরাপদ। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে আমাদের দেশের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে না এবং সড়কে ও মহাসড়কে আহতদের আর্তনাদ আর নিহতদের পরিবার পরিজনের বুক ভরা কান্না যে কোন মানুষকে কাঁদিয়ে ছাড়ছে। আমরা একটু সচেতন হলেই সড়ক হবে নিরাপদ। এজন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগীতা ও অংশগ্রহণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সচেতনের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই তিনি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক যোরদারকরণে সচেতন ক্যাম্পেইন করার আহ্বান জানান। সেক্ষেত্রে বিআরটিএ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সাবিহা পারভীন বলেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ নিরাপদ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মাসব্যাপী কার্যক্রমে যে কোন সহযোগীতায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে বিশেষ অতিথি ড. শরিফুল আলম সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা দ্রুত জারি ও বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকট আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের বিস্তারিত আলোচনায় বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার হার ও মৃত্যু বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। যার মধ্যে অন্যতম হলো বিধিমালার দ্রুত প্রণয়নের উপরে জোর দেন।
তিনি আরোও বলেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মাসব্যাপী নিরাপদ সড়ক ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের মধ্যে চালকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরিক্ষা, প্রদীপ প্রজলন, মোটরসাইকেল র্যালী অন্যতম।
সড়ককে নিরাপদ করার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য "আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি"। প্রতিবছর এ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোকে নিরাপদ করার জনদাবি জোরেশোরে উচ্চারিত হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.