৫ জানুয়ারি ২০২১ ০০:০০ | আপডেট: ৪ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৭
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ভারতের নিজস্ব করোনা ভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ না হওয়ায় বিশেষজ্ঞমহল এর প্রয়োগ নিয়ে সতর্ক করেছেন। অন্যদিকে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক গতকাল সোমবার আবার নিরাপত্তার ব্যাপারে চূড়ান্ত নিশ্চয়তা দিয়েছে। খবর বিবিসি ও এনডিটিভি।
ভারতের ওষুধ প্রশাসন গত রবিবার দুটি টিকার অনুমোদন দেয়- এর মধ্যে একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার, অন্যটি ভারত বায়োটেকের। বায়োটেকের টিকাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘গেম চেঞ্জার’ বললেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় এটি প্রয়োগে সতর্কতা অবলম্বন দরকার। অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ না করে ভারত বায়োটেকের টিকার অনুমোদনকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, পর্যাপ্ত তথ্যের ঘাটতি
থাকায় এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটেও তুমুল বিতর্ক দেখা যায়।
এদিকে গতকাল ভারত বাইয়োটেকের চেয়ারম্যান ড. কৃষ্ণা ইল্লা বলেন, টিকাগ্রহীতার আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োগের জন্য এ টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ট্রায়ালের তথ্য না পাওয়ায় সমালোচকরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কিন্তু এটি পানির মতো পরিষ্কার... আমরা এ ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করি না।
ভার্চুয়াল সভায় ড. কৃষ্ণা আরও বলেন, আমরা দুইশ পারসেন্ট সততা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে। আমাদের সব তথ্য পরিষ্কার রয়েছে।
অক্সফোর্ডের টিকার ভারতীয় উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগ্রহী দেশগুলোয় রপ্তানি শুরুর আগে আগামী দুই মাস তারা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতেই জোর দেবে। গত রবিবার সরকারি অনুমোদনের পর এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়াল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারত সরকারের চাহিদা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করার পর হয়তো তারা টিকা রপ্তানি করতে পারবেন।
এদিকে সরকারের অনুমোদনের আগে ভারতজুড়ে টিকার মহড়া (ড্রাই রান) শুরু হয়েছে। এখন শুধু টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার পালা। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যে কোনো সময় টিকা কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।
১২০ কোটি টাকা খরচ করলে দেশেই করোনা ভাইরাসের টিকা এক বছরে তৈরি করা যেত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে ভারতের সেরামকে টিকার জন্য প্রথম ধাপে যে ৬শ কোটি টাকা বাংলাদেশ দিচ্ছে, তার
চেয়ে কম টাকায় যদি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ বিজ্ঞানীকে এক কোটি টাকা মাসিক বেতনে আনা হতো, তা হলেও দেশের ১২০ কোটি টাকা খরচ হতো। এখানে অনেক বেশি বিজ্ঞানী তৈরি হতে পারত। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, দেশে এক বছরের মধ্যে টিকা তৈরি করা যেত।
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মেহেরুন নেছা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন করা হয়। এতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে জাতি প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণ কেবল মেয়ে ও ছেলেদের ওপরেই নয়, ধর্ষণ অর্থনীতিতেও অনেক বেশি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সদস্য মিয়া আনোয়ার, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন ও কৃষকদল নেতা গোলাম সরোয়ার প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.