ওয়ানডেতে আবারো সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের নতুন রেকর্ড করেছে ইংল্যান্ড। ৫০ ওভারে ইংলিশরা তুলেছে ৪৯৮ রান। উইকেট হারিয়েছে চারটি। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ডস।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এখন নেদারল্যান্ডসে রয়েছেন এউইন মরগানরা। আজ শুক্রবার (১৭ জুন) দেশটির অ্যামসটেলভেনের ভিআরএ ক্রিকেট গ্রাউন্ড স্টেডিয়ামে উপর্যুপরি তিন খেলোয়াড়ের শতকের ওপর ভর করে এই অবিশ্বাস্য সংগ্রহ তুলেছে সফরকারী ইংল্যান্ড।
ওয়ানডেতে এর আগের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটিও ইংল্যান্ডের দখলে। ২০১৮ সালে নটিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৪৮১ রান তুলেছিল ইংলিশরা।
অবশ্য ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের শীর্ষ চারটি রেকর্ডই ইংল্যান্ডের। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও আজ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি নতুন করে লিখিয়েছে ইংল্যান্ড।
২০১৫ বিশ্বকাপের পরই ওয়ানডে খেলার ধরন পাল্টেছে ইংল্যান্ড। সে ধারাবাহিকতায় আজ নতুন ইতিহাস লিখলেন জস বাটলার-ডেভিড মালানরা। এক ইনিংসে তিন শতক - বাটলার, মালান ও চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা ওপেনার ফিল সল্টের।
তাদের মধ্যে বাটলার ছিলেন সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক। ১৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৭০ বলে ১৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
৩ ছক্কা ও ১৪ চারে ৯৩ বলে ১২২ করেন ফিল সল্ট। অন্যদিকে ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ১০৯ বলে ১২৫ রান করেন মালান।
শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোন আরেকটু হলে ওয়ানডেতে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড ভেঙে ফেলতেন। ৬ ছক্কা ও ৬ চারে ২২ বলে ৬৬ রান করার পথে ১৭ বলে অর্ধশতক তুলে নেন লিভিংস্টোন। ওয়ানডেতে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডটি এবি ডি ভিলিয়ার্সের, ১৬ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেটি ছুঁতে না পারলেও ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়ে ফেলেন লিভিংস্টোন।
প্রোটিয়া কিংবদন্তির আরেকটি রেকর্ডও একটুর জন্য বেঁচে গেছে। ওয়ানডেতে দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ডও ডি ভিলিয়ার্সের। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ বলে রেকর্ডটি গড়েন তিনি। বাটলার ৬৫ বলে ১৫০ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে একটুর জন্য তাকে পেছনে ফেলতে পারেননি।
৪৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৪৭০। তখন মনে হচ্ছিল ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো ৫০০ রান দেখা হয়ে যাবে হয়তো। তখন উইকেটে ছিলেন বাটলার ও লিভিংস্টোন। কিন্তু ৪৯তম ওভারে ৭ রান এবং ৫০তম ওভারে ২১ রান তোলায় ৫০০ আপাতত দেখা হলো না দর্শকদের।
রেকর্ড রান করলেও ইংল্যান্ডের শুরুটা আজ ভালো হয়নি। ১.৩ ওভারে ওপেনার জেসন রয়কে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল সফরকারী দল। রয়কে আউট করেন শেন স্ন্যাটার। সম্পর্কে এ দুজন ‘কাজিন’। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া রয়কে বোল্ড করেন জিম্বাবুয়েতে জন্মানো স্ন্যাটার।
তখনো বোঝা যায়নি ম্যাচ কোন দিকে যাবে। এরপরই রানের বন্যা বইয়ে দেন ইংলিশ ব্যাটাররা।
দ্বিতীয় উইকেটে সল্ট-মালান মিলে ১৭০ বলে ২২২ রানের জুটি গড়েন। সল্ট আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটে বাটলার-মালান মিলে ৯০ বলে গড়েন ১৮৪ রানের জুটি। পঞ্চম উইকেটে বাটলার-লিভিংস্টোনের জুটির রান তোলার গতি ছিল আরো দ্রুত — ৩২ বলে তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে তোলেন ৯১ রান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.