টেকনাফ প্রতিনিধি : সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে নাফ নদীতে আটকে পড়া পর্যটকবাহী বে-ক্রুজ জাহাজটি সাত ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজে তিন শতাধিক পর্যটক ছিল।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় জাহাজটি উদ্ধার করা হয়। ট্রলার দিয়ে জাহাজটি টেনে টেকনাফ ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের জালিয়াপাড়া সংলগ্ন নাফনদীতে পাখায় মাছ ধরার জাল জড়িয়ে জাহাজটি আটকে পড়েছিল।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে নাফ নদে আটকে পড়া জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ফেরত আসা পর্যটকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কথা শুনেছি, বিষয়টি প্রমাণিত হলে জাহাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বে-ক্রুজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাহাজটি হ্নীলার দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। এক ঘণ্টা জালিয়াপাড়া সংলগ্ন এলাকায় জাহাজের পেছনের পাখায় একটি ডুবন্ত জাল (বিহিঙ্গি জাল) জড়িয়ে পড়ে। এতে জাহাজটি গতিরোধ হয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
আটকাপড়া পযর্টকরা বলেন, জাহাজটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘাট থেকে ছাড়েনি। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ বিলম্বে ছেড়েছে। অনেকে জাহাজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল। ছয় ঘণ্টা নাফ নদীতে ভাসমান ছিলাম। এসময় অনেক শিশু ও নারীরা ভয়ে কান্নাকাটি করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ডুবন্ত জালে নয়, হঠাৎ করে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পযর্টকদের এ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার মাঝ পথে বে-ক্রুজ নামের জাহাজটি নাফ নদীতে আটকা পড়ে। পরে যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2025 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.