মথুরাপুরে গৃহবধু নির্যাতন!!আর কত সইবে বাংলাদেশ?
প্রতিবেদকঃ মো;আশিকুজ্জামান হৃদয়: মথুরাপুরে গৃহবধূ নির্যাতন।আর কতো!!
ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় এক পরিবারের বিরুদ্ধে এক গৃহবধুকে নির্যাতন এবং তাদেরকে জোড়পূর্বক নির্যাতনের কথা গোপন রাখতে চাপ প্রয়োগ করার প্রমাণ মিলেছে।আমাদের সূত্রানুসারে, তিনি “মৃতঃ আব্দুল জলিল বিশ্বাস”এর মেজো ছেলে সৌদি প্রবাসী মোঃমেহেদী হাসানের স্ত্রী।আমাদের সূত্রানুসারে, গত ১৩ই জুলাই সকালের দিকে ভিক্টিমের সাথে ঐ পরিবারে থাকা আব্দুল জলিল বিশ্বাসের কণ্যা-“শাহানাজ পারভীন” “খড়ি” তোলা (রান্না করার কাজে ব্যবহৃত গাছের ডালপালা)নিয়েবাক বিতন্ডায় জড়ায় এবং ভিক্টিমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে।ঊল্লেখ্য যে, শাহানাজ এর সাথে তার স্বামীর সম্পর্ক শেষ হবার পর আজ প্রায় ১৫ বছর ধরে তার নিজের পিতৃগৃহে বসবাস করছে।
বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ঐ বাড়ীর সেজো ছেলে-মোঃহোসাইন আল ইমাম ঘর থেকে বাশ নিয়ে এসে ভিক্টিমকে অর্থাৎ তারই নিজের মেজো ভাইয়ের বউকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।এক পর্যায়ে গ্রামবাসীরা এসে হোসাইন কে আটকায়।সূত্রানুসারে এও জানা যায় যে, এই হোসাইন আরও কিছু বছর আগে তার এই ভাবীকেই মারধর করে ভিক্টিমের শ্রবণশক্তিতে আঘাত করে।পরবর্তীতে ভিক্টিম ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে তার কানের চিকিৎসা করান।ঘটনার এখানেই শেষ নয়, এই পরিবারের বিরুদ্ধে বিশেষ করে তাদের পরিবারে থাকা বোনের বিরুদ্ধে নিজ বড় ভাবীদেরকে আপত্তিকর ভাষায় গালিগালাজেরও যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।এছাড়া সূত্রানুসারে, ভিক্টিমের উপর এই নির্যাতনের কথা গোপন রাখার জন্য যথেষ্ট ভীতি দেখানো হয়েছে বলে জানায়।গ্রামের মানুষের সূত্রানুযায়ী, ঐ পরিবারের বড় ছেলে ঢাকায় বসবাসরত বাসিন্দা মোঃ খাজা মঈনউদ্দীন হোসাইনকে ফোন দিলে হোসাইন তার সাথে যথেষ্ট খারাপ ভাষায় কথা বলে এবং তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে।উল্লেখ্য, এখানে ভীতি দেখিয়ে ভিক্টিমদের চুপ রাখা গেলেও আমাদের কাছে ঘটনার সত্যতার যতেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
জানি না,এই খবর প্রকাশের পর ভিক্টিমের উপর আবার কোনো নির্যাতন চলবে কী-না?কিন্তু এভাবে আর কতদিন?আর কতদিন এসব বর্বর নির্যাতন চলবে?আর কতদিন এগুলো লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যাবে?আরও উল্লেখ্য যে, হোসাইনের মধুখালী উপজেলায় “আল-হেলাল জুয়েলার্স” নামে স্বর্ণের দোকান রয়েছে।
আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে প্রিতিবাদ গড়ে তুলি।আমাদের পত্রিকা জনগণের কন্ঠস্বর।