দুর্নীতি করবো না, করার সুযোগ দেবো না: বিআইএ প্রেসিডেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা খাতে কোনো ধরণের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। নিজে দুনীতি করবো না, অন্যকে দুর্নীতি করতে দেবো না বলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমদ।

তিনি বলেন, বীমা কোম্পানি জনগণের টাকা তছরুপ করবে, ছিনিমিনি খেলবে বিআইএ তা হতে দেবে না। আমরা তা মানবো না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করবো। কয়েকটি সংস্থার জন্য পুরো খাত প্রশ্নের মূখে পড়বে, এটা হতে দেব না।

রাজধানীর পল্টনস্থ ক্যাপিটালে মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক-এ তিনি এই অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

সাঈদ আহমেদ বলেন, বীমা আহরণের ক্ষেত্রে দেশের বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা অসম প্রতিযোগীতা চলছে। এটাকে আমরা বন্ধের জন্য নীতি-নির্ধারকদের সাথে কথা বলবো। এই অসম প্রতিযোগীতা দেশের বীমা খাতকে আরো সমস্যায় ফেলবে।

তিনি বলেন, বীমা কোম্পানি সেবামূলক কাজ করছে। সেখানে তারা সেবার নামে কেন টাকা নেবে, এটা হতে দিতে পানি না। সেবার নামে বাণিজ্য করবেন তা হতে দেবো না।

তিনি আরো বলেন, বীমা খাতের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা বেশি। কারণ এই খাতের উন্নয়নে পলিসি করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি বাধ্যতামূলক করে দেয় তাহলে খাতটির বিকাশ ঘটবে এবং জিডিপিতে অবদান বাড়বে।

বিআইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের বীমা খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনার ৫টি মূল্য লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আপাতত কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি।এর মধ্যে রয়েছে- বীমা বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আস্থা অর্জনের জন্য দেশব্যাপী প্রচারণা চালানো।

নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্তিশালী করণ এবং নীতিনির্ধারকদের সাথে সহযোগিতা করে ব্যবসাবান্ধব কার্যকর তৈরি করা। আধৃনিক প্রযিুক্তর মাধ্যমে গ্রাহকদের বীমাসেবা আরো সহজলভ্য কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে কাজ করা।

এ ছাড়াও বাজার সম্প্রসারণ ও স্বল্প আয়ের জনগণগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী বীমা পণ্য কিভাবে তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা। শিল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ব্যাংক, পূঁজিবাজার এবং গণমাধ্যমের সাথে অংশিদারিত্ব করে সমন্বিত আর্থিক কাঠামো গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের বীমা খাত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বেসরকারি খাতে ৮০টি বীমা কোম্পানির সংখ্যা আমার মতে কম। অনেক বীমা প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জের মুখে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরো সমন্বয় করা প্রয়োজন।

বিআইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের বীমা খাতে বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে। যেমন কভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাষ্ফীতি বিশ্বব্যাপী, দেশের অর্থনীতির অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার নেতিবাচক রিজার্ভ ইত্যাদির কারণে বীমা খাতের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।

এই খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সাঈদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং গড় আয়ু বৃদ্ধির পরেও আমাদের ইন্স্যুরেন্স শিল্প এখনও তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারেনি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে। এর মধ্যে বীমা সচেতনতা ও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এখনও বীমার গুরুত্ব ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা পুরোপুরি বোঝে না।

তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নীতিমালার সংস্কার চলমান থাকলেও, কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আরও সমন্বয় প্রয়োজন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে, গ্রাহকদের আরও সহজে বীমার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বাসের অভাব ও দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা এবং উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে।

বর্তমান বীমা খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, বীমার প্রতি জনগনের আস্থা বৃদ্ধি, সময়মত সকল প্রকার দাবী পরিশোধ, এনজিও কর্তৃক বীমা করার অধিকার রহিত করণ, ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের লাইফ বীমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব, বীমা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান প্রণয়ন, ভ্যাট-ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যাবলীর সমাধান করতে হবে।

এ ছাড়াও মটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলককরণ, বেসরকারী খাতে পুনর্বীমা কোম্পানি গঠন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ভ্যাট, দ্বৈতকর ও করহার হ্রাসকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতির বীমা করা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

তবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সম্ভাবনা থাকে। নতুন উদ্ভাবন, নীতিমালা সংস্কার এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশের বীমা শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পারবো, বলে বিআইএ’র নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ।




রফিকুর রহমান ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের নতুন মুখ্য নির্বাহী

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে মো. রফিকুর রহমানের নিয়োগ প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

নিয়োগপত্রের শর্তাদি পরিপালন সাপেক্ষে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৮ তারিখ পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য তার নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে।

গত ৬ মার্চ এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।

কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (নন-লাইফ) মো. সোলায়মান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে এই নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে




বিআইএ’র নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল

বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’ চেয়ারম্যান ড. এস আসলাম আলমসহ সংস্থাটির চার সদস্য, বিআইএ’র সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ এবং বিদায়ী কমিটির প্রেসিডেন্ট নাসিরউদ্দিন আহমেদসহ সংগঠনটির বর্তমান ও বিদায়ী কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্য এবং বিভিন্ন বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ নতুন কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এস এম আসলাম আলম, বিআইএ’র সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ এবং বিদায়ী কমিটির প্রেসিডেন্ট নাসিরউদ্দিন আহমেদ।

বিআইএ’র ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক আদিবা রহমান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেইন লিন্টু, সদস্য সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার এবং বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম;

পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ড. এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ।

অনুষ্ঠানে বীমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বীমা শিল্পের বিশিষ্টজনদের মধ্যে নাসির এ চৌধুরী, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বিআইএ’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মীর নাসির, সদস্য ও মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।




ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ওয়াটার এইডের উদ্যোগে পাবলিক টয়লেট ইজারাদারদের সনদপত্র বিতরণ

 

ঢাকা, ১০মার্চ ২০২৫: ওয়াটার এইড (Water Aid) বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘পাবলিক টয়লেট ইজারাদারদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি-সনদপত্র বিতরণ’ অনুষ্ঠান আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি প্রশাসক মো: শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, “নগরবাসীর নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা সিটি করপোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব। সরকারী-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নগরীতে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনায় জায়গার সীমাবদ্ধতা, ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও ইজারাদারদের দক্ষতার অভাব দূর করতে অংশীদারিত্বমূলক বিজনেস মডেলের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।”

প্রশাসক মো: শাহজাহান মিয়া ওয়াটার এইড বাংলাদেশের ‘পথের দাবী: চলতি পথে টয়লেট হোক প্রশান্তির জায়গা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগের জন্য ওয়াটার এইডকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়াটার এইড ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে এবং ২০১৪ সাল থেকে ডিএসসিসি এলাকায় ১১টি পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১৫টি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করেছে বিজিবি*

 

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১.৮ কেজি ওজনের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ মোঃ সোহেল উদ্দিন নামের একজনকে আটক করেছে বিজিবি।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে
গতকাল রাতে বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক, বিএ-৬৩৮০ লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় একটি বিশেষ আভিযানিক দল ০১ জন আসামীসহ ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ১৫টি স্বর্ণের বার আটক করে।

বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) গতকাল (০৯ মার্চ ২০২৫) সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাট এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার হবে। এ প্রেক্ষিতে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ আশরাফুল হকের দিকনির্দেশনায় অধীনস্থ ঝাউডাংগা বিশেষ ক্যাম্পের টহল কমান্ডার নাঃ সুবেঃ এম এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিজিবির একটি চৌকষ আভিযানিকদল বর্ণিত স্থানে কৌশলে অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক সন্ধ্যা ০৭০০টায় সাতক্ষীরা শহরের দিক হতে ইজিবাইক যোগে সীমান্তের দিকে গমনকালে বর্ণিত স্থানে ইজিবাইক থামিয়ে মোঃ সোহেল উদ্দিন (৫৫) নামের একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে বিজিবি টহলদল। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তি ও ইজিবাইকে তল্লাশি চালিয়ে ইজিবাইকের সামনের স্টিয়ারিংয়ের নিচের অংশে ফিটিং করা এবং স্কচটেপ দ্বারা পেঁচানো অবস্থায় ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ১ কেজি ৮০০ গ্রাম এবং আনুমানিক বাজারমূল্য-২,৩৫,৩৫,২০০/- (দুই কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার দুইশত) টাকা। এসময় ইজিবাইকটিও জব্দ করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার আইসপাড়া গ্রামের মোঃ হামেজ উদ্দিনের ছেলে। শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করতঃ তাকে থানায় সোপর্দ এবং স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 




জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ১০ মার্চ ২০২৫: আগামী ১৫ মার্চ ২০২৫ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে আজ এক কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসি ও সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শিহাব উদ্দিন (অ.দা.)।

সভায় জানানো হয়, এবারের ক্যাম্পেইনে ডিএসসিসি এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ১,১০,০০০ শিশুকে ১ টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫,৬০,০০০ শিশুকে ১ টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২,০০,০০০ আইইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ক্যাম্পেইনের দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১,৮২৭ টি কেন্দ্রে ৩,৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

সভায় বক্তারা বলেন, “সরকার সরবরাহকৃত এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে শিশুকে ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়াতে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।”

গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে জনগণকে সঠিক তথ্য জানাতে এবং শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার জন্য।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস)-এর লাইন ডাইরেক্টর, ঢাকা বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকদের প্রতিনিধি, গার্লস গাইড, রোভার স্কাউট, রোটারি ক্লাবের প্রতিনিধি, ইউনিসেফ, এসআইএমওগণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউপিএইচসিএসডিপি, এনএইচএসডিপি, ব্লিস বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ভিটামিন ‘এ’ শিশুদের অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে।




বিআইএফ’র নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) এর নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি এবং পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে কাওরান বাজারস্থ ন্যাশনাল লাইফ টাওয়ারে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ন্যাশনাল লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন, সেক্রেটারী জেনারেল ও সেনা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শফিক শামীম, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল এবং জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, ফাইন্যান্স সেক্রেটারী ও বেঙ্গল ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুন্সী মো. মনিরুল আলম, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. একেএম সারোয়ার জাহান জামীল, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমাম শাহীন।

আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান তারেক, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বায়েজিদ মুজতবা সিদ্দকী, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী এবং নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী গোলাম ফারুক প্রমুখ।




যশোরে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের যশোর অঞ্চলের ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও উন্নয়ন কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যবসা উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৯ মার্চ) সকালে যশোরে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের নিজস্ব ভবন মিলনায়তনে এ ব্যবসা উন্নয়ন সভা ও বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের আল আমিন বীমা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম রুবেলের সভাপতিত্বে ব্যবসা উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী সদস্য বি এম ইউসুফ আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম শওকত আলী, উর্ধ্বতন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্রাঞ্চ কন্ট্রোল) সৈয়দ মোতাহার হোসেন, জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন মহসিন, ইসলামী ডিপিএস প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান সিকদার, পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক, আল-বারাকাহ্ ইসলামী ডিপিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সোলায়মান হোসেন সোহাগ।

এ সময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের আল আমিন বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান, আল আমিন একক বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ আতিকুর রহমান, জনপ্রিয় বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম, একক বীমা প্রকল্পের প্রকল্প ইনচার্জ আরিফুর রহমান প্রমুখ।

ব্যবসা উন্নয়ন সভা শেষে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমা গ্রাহকদের হাতে বীমাদাবীর ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী সদস্য বি এম ইউসুফ আলী।




ফুলেল শুভেচ্ছায় বিআইএ’র নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর

বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের বরণ ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর নয়া পল্টনে সংগঠনটির কনফারেস রুমে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ দিন সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির ২২৩তম সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিআইএ’র বিদায়ী কমিটির প্রেসিডেন্ট ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) সংগঠনের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। একইসাথে নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বিআইএ’র নতুন কমিটির ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক আদিবা রহমান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেইন লিন্টু এবং নির্বাহী সদস্য ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ও পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ভাইস-প্রেসিডেন্টের নির্বাচন।

বিআইএ’র নন-লাইফ বীমার অন্য নির্বাহী সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ন্যাশনালের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ড. এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. আব্দুল মতিন সরকার।

লাইফ বীমার নির্বাহী অন্য সদস্যরা হলেন- বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার এবং বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম।




সুনামগঞ্জ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী জঙ্গলবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৯২ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শার্ট পিস, প্যান্টের কাপড়, ব্লেজারের কাপড়, পাঞ্জাবির কাপড় এবং কক্সমেটিক্স সামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি।

অদ্য ০৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ সকালে বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ চারাগাঁও বিওপির টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ী নামক স্থানে সীমান্ত পিলার-১২৯৪/৩-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বর্ণিত স্থান থেকে মালিকবিহীন ভারতীয় ৫,১২৭টি শার্টপিস, ১৫৬ মিটার প্যান্টের কাপড়, ১,২৯৬ মিটার ব্লেজারের কাপড়, ২০,৪৩০ মিটার পাঞ্জাবীর কাপড় এবং ৯,০০০ পিস স্কীন সানরাইজ ক্রীম জব্দ করে বিজিবি। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক সিজারমূল্য-২,০০,৯২,৫০০/- (দুই কোটি বিরানব্বই হাজার পাঁচশত) টাকা।

জব্দকৃত মালামাল সুনামগঞ্জ কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা‌ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করতে সক্ষম হচ্ছে।