Home খেলাধূলা মাশরাফির স্মরণীয় ম্যাচে টাইগারদের জয়

মাশরাফির স্মরণীয় ম্যাচে টাইগারদের জয়


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : মাশরাফি বিন মুর্তজার মাইলফলকের ম্যাচে জয়ে সিরিজ শুরু টাইগারদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাশরাফির স্মরণীয় ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে বল হাতে ১০ ওভারে ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন মাশরাফি। ব্যাট হাতে ৫৫ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম।

এদিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের ১৯৬তম ম্যাচে রোববার মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন মুশফিক। তার ব্যাটে ভর করে মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এদিন খেলতে নামার আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৯৫ ম্যাচে ৬টি সেঞ্চুরি এবং ৩০টি ফিফটির সাহায্যে ৫ হাজার ২১৩ রান করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

ভালোই খেলছিলেন, কিন্তু নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ১৩ বলে ১৯ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হল জাতীয় দলের এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে।

১৪৩ বলে করতে হবে মাত্র ৫০ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট। খেলার এমন অবস্থায় দুর্দান্ত খেলতে থাকা সাকিব আল হাসান পাওয়েলের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে ২৬ বলে ৩০ রান করেন সাকিব।

মাত্র ৫ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল লিটনের। ‘নো’ বলের কল্যাণে লাইফ ফিরে পাওয়া এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত ফেরেন ৪১ রানে। দলীয় ৮৯ রানে কিমো পাওয়েলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৪১ রান করেন লিটন।

হঠাৎ ছন্দ পতন ইমরুল কায়েসের। তামিম ইকবালের আউটের পর মাত্র ৪ রানে ফেরেন কায়েস।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে দুই সেঞ্চুরিতে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন ইমরুল কায়েস।

সম্প্রতি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কায়েস রোববার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ফেরেন মাত্র ৪ রানে।

ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ‘নো’ বলের কল্যাণে লাইফ পান লিটন কুমার দাস। ঠিক পরের ওভারেই সাজঘরে দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। প্রায় আড়াই মাস পর প্রতিযোগিতা মূলক ক্রিকেটে ফিরে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তামিম এদিন ফেরেন মাত্র ১২ রানে।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯৫/৯ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার শাই হোপ। এছাড়া ২৮ বলে ৩৬ রান করেন কিমো পাওয়েল। ৩২ রান করেন রোস্টন চেজ। বাংলাদেশ দলের হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোস্তাফিজুর রহমান তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান ও রুবেল হোসেন।