Home খুলনা ক্যাম্পাস ইবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর

ইবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর


ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ আগামী বুধবার, ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন (শাপলা ফোরাম) এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সংগঠন (জিয়া পরিষদ ও গ্রীণ ফোরাম) পৃথক পৃথক প্যানেল জমা দিয়েছে।

যাচাই বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। ফলে এবারের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী ও প্রগতিশীল শিক্ষক প্যানেল এবং বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক প্যানেলের মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী শাপলা ফোরাম থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া প্রার্থী হয়েছেন।

একই প্যানেল থেকে সহ সভাপতি পদে ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. এএইচএম আক্তারুল ইসলাম জিল্লু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর ড. মামুনুর রহমান নির্বাচন করবেন। এছাড়াও সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

অপর দিকে, জিয়া পরিষদ ও গ্রীণ ফোরাম থেকে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেনকে সভাপতি পদে এবং দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের প্রফেসর ড. অলী উল্যাহ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন।

এই প্যানেলের সহ সভাপতি পদে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. আবু সিনা, যুগ্ম সম্পাদক পদে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ পদে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া সদস্য পদে বিভিন্ন বিভাগের ১০ শিক্ষক নির্বাচনে অংশ নিবেন।

আগামী বুধবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষদ ভবনের ৪২৭ নং কক্ষে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৪০৬ জন শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।