Home রংপুর ক্যাম্পাস বেরোবিতে ‘মানবতার দেয়াল’, শীতে রক্ষা পাচ্ছে অসহায়

বেরোবিতে ‘মানবতার দেয়াল’, শীতে রক্ষা পাচ্ছে অসহায়


‘মানবতার দেয়াল’, একটি নাম, একটি মানবতার উদাহরণ। যা অসহায় মানুষগুলের পাশে দাড়ানোর প্রেরণার উৎস। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালের এক পাশে লেখা, ‘আপনার অপ্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় এখানে রেখে যান’ এবং অন্য পাশে লেখা, ‘আপনার প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় নিয়ে যান’। দেয়ালের নিচে লেখা, ‘দিতে নয় কার্পণ্য, নিতে নয় লজ্জা’।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের বাম দিকের দেয়াল ব্যবহার করে অসহায় দরিদ্রদের শীতের কথা এভাবে কাপড় সংগ্রহের একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। যেখানে একজন তার অপ্রয়োজনীয় কাপড় রেখে যাচ্ছেন, আর কারও দরকার হলে সেই কাপড়টি বিনামূল্যে কেউ নিয়ে যেতে পারছেন।

উদ্যোগটি নিয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ রংপুর শহরে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। উদ্যোক্তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. সোহরাব হোসেন বলেন, শীতে রংপুরের মানুষগুলো একটু বেশিই কষ্ট পান। তাদের কষ্ট লাঘবে এই ক্ষুদ্র চেষ্টা। অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় কাপড় থাকলেও সরাসরি বিতরণ করতে পারছেন না। অন্যদিকে শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে কষ্ট পাচ্ছেন। এ দুয়ের মেলবন্ধন করে দিচ্ছে মানবতার দেয়াল।

মানবতার দেয়ালের উদ্যোক্তা ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মতিউল্লাহ মেজবাহ নাবিল বলেন, অনেকেই শীতের কষ্ট থেকেও লজ্জায় কারও কাছ থেকে চাইতে পারছেন না। তারা এ দেয়াল থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন।

একই বিভাগের আরেকজন উদ্যোক্তা মো. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই কার্যক্রম শুধু সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে শীতবস্ত্র পৌঁছে দেয়া নয়, বরং ভালোবাসার উষ্ণতা ছড়িয়ে দেয়া।

অন্য দুই উদ্যোক্তা হলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবুল বাসার রনি এবং অর্থনীতি বিভাগের ছমিরন সরকার। মানবিক কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, সবাই যদি এভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই তবে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বড় কোনো সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর উমর ফারুক বলেন, মানবতার দেয়াল নামে শিক্ষার্থীদের এটি সত্যি অন্যন্য উদ্যোগ। আমাদের সবার উচিত এ উদ্যোগের পাশে থেকে শীতার্ত মানুষদের কষ্ট লাঘব করা।