
ষ্টাফ রিপোর্টার –
চাঁদপুর সদরের বিষ্ণপুরে হামলায় দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গত
২২ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পর বিষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম খান লোকজন
নিয়ে হামলা চালিয়ে দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ
পাওয়া যায়। মাটি ভরাট করে এখানে নির্মান হওয়া ৭টি দোকানের টিন, বেড়া ও
দোকানের আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করা হয়। এমনটি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি
নবনির্মিত যাত্রী ছাউনিটিও। দোকানের ভিতরে অগ্নিসংযোগের আলামত লক্ষ্য করা
গেলেও স্থানীয় লোকজনের আন্তরিক হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মতলব উত্তরের ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া থেকে
নতুন একটি রাস্তা মতলব পৌরসভার বরদিয়া এলাকা সংলগ্ন বিষ্ণপুর খেয়াঘাট
এলাকায় নতুন দোকানপাট করে মার্কেট নির্মান করা হয়েছে। সাথে একটি যাত্রী
ছাউনীও নির্মার করা হয়। এ পথে যাতায়াতকারী লোকজনের সংখ্যা দিনে দিনে
মাত্রারিক্তহারে বৃদ্ধি পেলে সরকারীভাবে সেখানে সোলার লাইট স্থাপন করা হয়। এ পথে
যাতায়াতের কারনে ফরাজীকান্দি, জহিরাবাদ, এখলাছপুর ও মোহনপুর এলাকার লোকজনের
যাতায়াতে সময় ও অর্থ দুটোরই সা¯্রয় হয় বলে এ পথে যাতায়াতে এখন ভীর লক্ষ্য করা
যায়।
খোজ খবর মতে, মতলব উত্তর চরমাছুয়া এলাকার বেড়িবাঁধ থেকে চওড়া পাকা রাস্তা
এসে মতলব পৌরসভার বরদিয়া অঞ্চলের নদীর পাড়ে এসে মিলিত হয়। ছোট নদী পাড়
হলেই সিএনজি অটোরিক্সায় চাঁদপুরে সহজে যাতায়াত। কিন্তু মতলব উত্তর চরমাছুয়া
এলাকা থেকে থেকে ছোট নদী পেড়িয়ে খেয়া নৌকাটি যেখানে থামে সেই
স্থানটি চাঁদপুর সদরের বিষ্ণপুর এলাকায় শেষাংশ। তবে দোকানপাট নির্মানকারী ও
তদারককারীরা জানান, যে জায়গাটিতে মাটি ভরাট করে দোকানপাট ও যাত্রী ছাউনী
নির্মার করা হয়েছে সে জায়গাটি আইগতভাবে তাদের নিজেদের।
এ দোকানপাটের(মার্কেটের)তদারককারী পাশ্ববর্তী বরদিয়া এলাকার কাউন্সিলর মামুন
চৌধুরী বুলবুল জানায়, বিষ্ণপুর এলাকার চেয়ারম্যান শামীম খান নিজে দাাঁড়িয়ে
থেকে লোকজন দিয়ে হামলা চালিয়ে এই দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
ছবি ক্যাপশন- বিষ্ণপুর এলাকায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকানপাটের একাংশ।