
আলোকিত মানুষ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলামের জন্ম ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জ জেলায়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন নিজ জেলায় সম্পন্ন করে ১৯৭২ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। একটি সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচের ছাত্র হিসেবে সহিদুল ইসলাম স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে ক্যাডেট কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন এবং সর্বোচ্চ পদোন্নতি লাভ করে বরিশাল ও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর প্রায় সব ক’টি ক্যাডেট কলেজে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১০ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। প্রফেসর সহিদুল ইসলাম ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত আছেন। মাইলস্টোন কলেজ, বর্তমান শিক্ষা, সরকারের শিক্ষনীতি, আইটি শিক্ষা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলে লিখেছেন – লিসা মাহমুদা।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : মাইলস্টোন কলেজের বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইছি।
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : মাইলস্টোন কলেজ ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উত্তরা মডেল টাউনে ২০০২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লাভের পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কলেজটি ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। এখানে প্লে-গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনেও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ইংরেজি ভার্সনের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই মাইলস্টোন কলেজ। বলাবাহুল্য, বাংলা মাধ্যমের মতো ইংরেজি ভার্সনও প্লে-গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত। কলেজের মেইন ক্যাম্পাস উত্তরা ১১ নং সেক্টর হলেও এর ব্যাপকতার কারণে অন্যান্য সেক্টরেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেক্টরের বাইরে চালাবন, দক্ষিণখানে এবং ঢাকার মোহাম্মদপুরেও আমাদের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। ঢাকার বাইরে গাজীপুর শহরে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের একটি ক্যাম্পাস স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তরা ৩য় প্রকল্প সংলগ্ন ডিয়াবাড়িতে ২০ বিঘা আয়তনের মাইলস্টোন কলেজের একটি ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই গড়ে তোলা হয়েছে যা স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত। নির্মাণাধীন মেট্রোরেল এর ডিপো এবং প্রারম্ভিক স্টেশন সংলগ্ন মনোরম, নয়নাভিরাম শিক্ষাবান্ধব প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ আমাদের এই স্থায়ী ক্যাম্পাস। আবাসিক ও অনাবাসিক উভয় ধরনের শিক্ষার্থীদেরই এখানে অধ্যয়নের সুযোগ আছে। বর্তমানে স্থায়ী ক্যাম্পাসের আটশতসহ আড়াই হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী আবাসিক হোস্টেলে অবস্থান করে লেখাপড়া করছে। শিক্ষার পাশাপাশি এখানে শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম ও খেলাধুলা ক্ষেত্রেও সকল প্রকার প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় যার প্রমাণ বিভিন্ন আন্ত:স্কুল এবং আন্ত:কলেজ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভ। আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত আন্ত:কলেজ ক্রিকেট, ভলিবল, ফুটবল, ইত্যাদি ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড এই প্রতিষ্ঠানের দখলে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শিক্ষাকে আমরা খরচ মনে করি না। আমি মনে করি, এটি বিনিয়োগ; জাতিকে গড়ে তোলার বিনিয়োগ’। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের আলোকে আপনার পর্যবেক্ষণ ও মতামত জানতে চাইছি?
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘শিক্ষাকে আমরা খরচ মনে করি না, আমি মনে করি এটি বিনিয়োগ, জাতিকে গড়ে তোলার বিনিয়োগ’- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি এবং যথার্থ। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে, আর তা হচ্ছে একটি উন্নত জাতি ও দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করা। এজন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কোনো কিছুতে বিনিয়োগের অর্থই হচ্ছে তা থেকে অধিক কিছু অর্জন। কৃষি, শিল্প, চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ব্যবসায়-বাণিজ্য ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। ব্যক্তি শিক্ষিত হওয়া থেকেই সূচনা হয় শিক্ষিত জাতির ও দেশের। আর এই শিক্ষা অর্জনের জন্য যে বিনিয়োগ তার মাধ্যমেই আসে সচ্ছলতা, আত্মনির্ভরশীলতা এবং জাতীয় উন্নতির অংশীদার হওয়া। প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয়, শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ সর্বোচ্চ, বিশেষ করে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা বিশে^ অনন্য ও নজিরবিহীন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসিতে আপনাদের শিক্ষার্থীদের ফলাফল কেমন? একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা এ কলেজ কেন বেছে নিবে?
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : মাইলস্টোন কলেজের সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ঈর্ষণীয়। এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ১১৭৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে মাত্র একজন ছাড়া সবাই উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ৯৯.৯২%। এদের মধ্যে ৭৯০ জন জিপিএ ৫.০০ অর্জন করে অর্থাৎ জিপিএ ৫.০০ অর্জনের হার ৬৭%। এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৯.০২%। ইতোপূর্বে এ কলেজ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বেশ কয়েকবার শিক্ষা বোর্ডের প্রাতিষ্ঠানিক মেধা তালিকায় স্থান লাভ করে যার মধ্যে এসএসসিতে চতুর্থ (২০১৪ সাল) এবং এইচএসসিতে সপ্তম (২০১৪ সাল) ফলাফল স্মরণযোগ্য। উল্লেখ্য, এ প্রতিষ্ঠানের পিইসি, জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল আরো উজ্জ্বলতর। সারাদেশ ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে তৃতীয় স্থানসহ এ দু’টি পরীক্ষায় আট বার প্রাতিষ্ঠানিক মেধা তালিকায় স্থান লাভের কৃতিত্বও মাইলস্টোনের। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ এবং মানসম্মত শিক্ষা প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীরা অবশ্যই মাইলস্টোন কলেজকে বেছে নিতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : মাইলস্টোন কলেজে শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন?
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : মাইলস্টোন কলেজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিটি দিন, ঘন্টার সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা হয়। শিক্ষার্থীদের মান যা-ই হোক না কেন ভালো ফলাফল পেতে হলে পাঠদান হতে হবে উন্নত মানের এবং এজন্য চাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক যা মাইলস্টোন কলেজ নিশ্চিত করে। শিক্ষক হিসেবে যোগদানের সাথে সাথেই তাঁদের জন্য শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ের ওপর দুই সপ্তাহের নিবিড় বেসিক ট্রেনিং দেওয়া হয়। এরপর বিষয়ভিত্তিক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ চলতে থাকে সারাবছর নিয়মিতভাবে। এভাবে আমরা ভালো শিক্ষক তৈরি করি। এসব অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত ভালো শিক্ষকগণ শ্রেণিকক্ষে যথাযথ পাঠদান, পাঠগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, অতিরিক্ত ক্লাস, রিকোভারি ক্লাস, টেস্ট, ক্লাস টেস্ট, এমটি ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে ফলপ্রসূ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ থাকে না। আমাদের শিক্ষকগণ প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিভাবকদের সংশ্লিষ্ট করে হোমওয়ার্ক নিশ্চিত করেন। আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আবাসিক শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ও বিষয় শিক্ষকদের হোস্টেল পরিদর্শনের মাধ্যমে পাঠ তদারকি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : শিক্ষার্থীদের মানসিক ও চারিত্রিক বিকাশের জন্য প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কতটুকু বলবেন কি?
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : ‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’- এই মূলমন্ত্র এখানে সার্থকভাবে পালন করা হয়। একজন শিক্ষার্থীকে সৎ চরিত্রের অধিকারী হওয়ার জন্য শ্রেণিসমাবেশ, সাপ্তাহিক সমাবেশ ও অধ্যক্ষের সমাবেশের মাধ্যমে নিয়মিত উপদেশ, প্রণোদনা ও প্রেষণা প্রদান করা হয়। আমাদের এখানে রয়েছে সরকার নির্দেশিত সততা সংঘ, সুতা স্টোর যার মাধ্যমেও আমরা শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন বিষয়ে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। আকাশ সংস্কৃতি ও মোবাইল আসক্তিসহ সকল প্রকার নেশার কুফল সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদেরকে ধারণা প্রদান করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : বর্তমান সময়ে স্লোগান হচ্ছে- ‘তরুণরাই গড়বে ডিজিটাল বাংলাদেশ’। সরকারের এই প্রত্যাশা পূরণে আপনার প্রতিষ্ঠান কেমন ভূমিকা রাখছে?
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সরকারের ভিশন ও মিশন। শিক্ষাক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার নানাবিধ কার্যক্রম চলমান আছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনা এ প্রকল্পের একটি সফল ও কার্যকর ব্যবস্থা। একাধারে দুইমাস মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনায় নিজ থানার স্কোরের ভিত্তিতে বিশাল ব্যবধানে ১ম স্থান দখল করে রাখার কৃতিত্ব এ কলেজের। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি পাঠক্রমে বাধ্যতামূলক করে কিশোর ও তরুণদেরকে এবিষয়ে উৎসাহিত ও পারদর্শী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীই পূরণ করবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : বর্তমান সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে?
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : ভিশন ২০২১, বর্তমান সরকারের আরো একটি অঙ্গীকার। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা এখানে প্রত্যেক শিক্ষককে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শুরুতেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনা করার সকল প্রকার পদ্ধতি বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমাদের রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম ও আইসিটি ল্যাব। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনলাইন ও বায়োমেট্রিক উপস্থিতি, অনলাইন ফলাফল প্রকাশ, অভিভাবকদের সাথে অনলাইনে ও ইন্টারনেটে সকল প্রকার যোগাযোগ, শিক্ষকদেরকে মুক্তপাঠ ও শিক্ষক বাতায়নের সদস্য হওয়া ইত্যাদি তথ্য ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় অন্তর্ভুক্তি ও চলমান রেখে ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে এ প্রতিষ্ঠান সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : একজন আদর্শ ও দায়িত্ববান অধ্যক্ষ হিসাবে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম : সুদীর্ঘকাল ক্যাডেট কলেজের মত দেশের অতি উচ্চ মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ও পরবর্তীতে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকে লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এখানে প্রয়োগ করে এ প্রতিষ্ঠানকে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার গুরু দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং এক্ষেত্রে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। শুধুমাত্র জিপিএ ৫.০০ তথা ভালো জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া নয়, প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক ও যুগোপযোগী অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে যথাযথ জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে এ পর্যায়ের শিক্ষা সমাপ্ত করে উচ্চ শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে তা সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারে এটাই হচ্ছে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমাদের মাইলস্টোন কলেজের মূলমন্ত্রও তাই- লার্ন অ্যান্ড লিড।