Home স্বাক্ষাৎকার সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী সকল ক্ষেত্রে অবদান রেখে রাষ্ট্রের উন্নয়ন নিশ্চিত করে প্রফেসর ড....

সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী সকল ক্ষেত্রে অবদান রেখে রাষ্ট্রের উন্নয়ন নিশ্চিত করে প্রফেসর ড. মো. লোকমান হোসেন


বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম)-এর প্রতিষ্ঠা সূচনালগ্নের কার্যক্রমের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাইছি।
প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন : ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সম্প্রসারণ কেন্দ্র বা ঊফঁপধঃরড়হ ঊীঃবহংরড়হ ঈবহঃৎব (ঊঊঈ) নামে বর্তমান নায়েম-এর জন্ম হয়েছিল। পরবর্তী প্রায় ছয় দশকে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিধি বৃদ্ধি পায় এবং নতুন নতুন দায়িত্ব সংযোজনের কারণে সঙ্গতিপূর্ণ কাজের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিষ্ঠানটির নামেও পরিবর্তন আসে। যেমন : ১৯৭৫ সালে ইধহমষধফবংয ঊফঁপধঃরড়হ ঊীঃবহংরড়হ ধহফ জবংবধৎপয ওহংঃরঃঁঃব (ইঊঊজও); ১৯৮২ সালে ঘধঃরড়হধষ ওহংঃরঃঁঃব ভড়ৎ ঊফঁপধঃরড়হ অফসরহরংঃৎধঃরড়হ ঊীঃবহংরড়হ ধহফ জবংবধৎপয (ঘওঊঅঊজ) এবং ১৯৯১ সালে ঘধঃরড়হধষ অপধফবসু ভড়ৎ ঊফঁপধঃরড়হধষ গধহধমবসবহঃ (ঘঅঊগ) নামকরণ হয়। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৮ একর জমির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা নিয়ে আলোচনা, সেমিনার, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণাধর্মী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে এসব কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নায়েম এর বহুমাত্রিক ভূমিকা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষাকে আমরা খরচ মনে করি না। আমি মনে করি, এটি বিনিয়োগ; জাতিকে গড়ে তোলার বিনিয়োগ’। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের আলোকে আপনার পর্যবেক্ষণ ও মতামত জানতে চাইছি।
প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ সর্বোত্তম বিনিয়োগ, কথাটি যথার্থ। কারণ অন্যসকল বিনিয়োগে ক্ষতি বা ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে। কেবলমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে সৃষ্ট মানবসম্পদ প্রয়োজনের নিরিখে ক্রমাগতভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। এতে কোনো ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকবে না। শিক্ষা হলো দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ, তার রিটার্ন আসে অনেক দিন পর। সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী সম্পদে পরিণত হয় এবং ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে অবদান রেখে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : আপনার প্রতিষ্ঠানের চলমান উল্লেখযোগ্য কোর্সসমূহ কী কী? প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের এই কোর্সগুলো তাদের কর্মস্থলে কতটুকু ফলপ্রসূ হয় বলে আপনি মনে করেন ?
প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন : বর্তমান নায়েম-এ প্রায় ২৫ ধরনের কোর্স পরিচালিত হয় যেমন –
প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের নাম ও প্রশিক্ষণার্থীগণের পদমর্যদা
০১. সিনিয়র স্টাফ কোর্স অন এডুকেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এসএসসিইএম), সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকগণ
০২. অ্যাডভান্সড কোর্স অন এডুকেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এসিইএম), সরকারি কলেজ এর উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপকগণ
০৩. শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা কোর্স (কলেজ পর্যায়), সরকারি ও বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণ
০৪. শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা কোর্স (মাধ্যমিক পর্যায়), মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ
০৫. শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা কোর্স, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) এবং অন্যান্য কর্মকর্তা
০৬. বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স (ঋঞঈ), বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ
০৭. কমিউনিকেটিভ ইংলিশ কোর্স (কলেজ পর্যায়), কলেজ পর্যায়ের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষকগণ
০৮. কমিউনিকেটিভ ইংলিশ কোর্স, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কর্মকর্তাগণ
০৯. কমিউনিকেটিভ ইংলিশ কোর্স, মাধ্যমিক পর্যায়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকগণ
১০. শিক্ষা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্স (ঊচউ), সরকারি কলেজের শিক্ষক ও সরকারি প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তাগণ
১১. শিক্ষা গবেষণা পদ্ধতি প্রশিক্ষণ কোর্স (ইআরএম), সরকারি কলেজের শিক্ষকগণ (যারা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রথম-দশম স্থান অধিকার করেছেন)
১২. গ্রন্থাগার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স (খচগ), সরকারি ও বেসরকারি কলেজের গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকগণ
১৩. অফিস ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স (ঙগঞঈ), সরকারি কলেজের শিক্ষক ও অফিস কর্মকর্তাগণ
১৪. প্রকল্প ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স, সরকারি কলেজের শিক্ষক ও অফিস কর্মকর্তাগণ
১৫. শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা (সঞ্জিবনী) কোর্স (কলেজ পর্যায়), সরকারি ও বেসরকারি কলেজ ও সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণ
১৬. শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা (সঞ্জিবনী) কোর্স (মাধ্যমিক পর্যায়), সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ
১৭. স্যাটেলাইট ট্রেনিং কোর্স অন প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকগণ
১৮. সাচিবিক বিদ্যা ও অফিস ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স, কলেজ এর ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের সম্মানিত শিক্ষকগণ
১৯. তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (ওঈঞ) প্রশিক্ষণ কোর্স, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ
২০. আইসিটি ট্রেনিং কোর্স (কলেজ পর্যায়), সরকারি ও বেসরকারি কলেজ ও সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষকগণ
২১. আইসিটি ট্রেনিং কোর্স (মাধ্যমিক পর্যায়), সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকগণ
২২. প্রশিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ কোর্স (ঞড়ঞ), সরকারি কলেজের শিক্ষক ও প্রশিক্ষকগণ
২৩. জাতীয় শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ কোর্স (ঘওঝ), সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ
২৪. ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্স (কলেজ পর্যায়), স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষকগণ
২৫. ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচিং কোর্স (ঊখঞঈ), মাধ্যমিকস্তরের সহকারী শিক্ষকগণ
উল্লিখিত এই কোর্সসমূহ শুরুর করার পূর্বে কোর্সের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা নির্ধারণের জন্য কোর্সের সুবিধাভোগীদের সাথে নিয়ে একাধিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় এবং কোর্স ঈড়হঃবহঃং ও প্রশিক্ষণ সামগ্রি প্রস্তুত করা হয়। সুতরাং কোর্সসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষা ও শিক্ষকদের গুণগতমানের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়। তবে কোর্সের শিক্ষণফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে কতখানি ফলপ্রসূভাবে প্রয়োগ হচ্ছে তা নিশ্চিতকরণের জন্য নিয়মিত তদারকি ও জবাবদিহিতা, তিরস্কার বা পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষা শেষে অনেক শিক্ষার্থী বেকার হয়ে পড়ে; এই বেকার সমস্যা সমাধানে আপনার পরামর্শ কি ?
প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন : দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে অনেক শিক্ষার্থী বেকার হয়ে পড়ছে। এই বেকার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানামুখী প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। সাধারণ শিক্ষার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পরিবেশ সৃষ্টি করা। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তির উৎকর্ষের মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। তৃতীয়ত, বিদেশে অধিকতর কর্মসংস্থানের উপায় বের করা এবং তরুণ প্রজন্মকে চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদেরকে নানাবিধ সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করা আবশ্যক। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে দেশ গড়ার প্রত্যয়ী হওয়ার জন্য কারিগরি জ্ঞানে তাদের সন্তানদের পড়ানোর মনোভাব সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির এই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নায়েম প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের কীভাবে গড়ে তুলছে?
প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন : বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির এই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্নভাবে নায়েম-এ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নায়েম-এর চলমান প্রায় প্রতিটি প্রশিক্ষণ কোর্সে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে উন্নয়নে যথার্থ ভূমিকা রাখা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এবং সেমিনার, ইনোভেশন কার্যক্রমসহ নানা বিষয়ে কর্মশালা এবং নানামুখী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে।
আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে নায়েম -এর প্রশিক্ষণার্থীগণকে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ব্যাপকহারে প্রশিক্ষণ, সুশাসন, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণে যে সকল ডিভাইস প্রয়োজন তা উদ্ভাবনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া শিক্ষার প্রতিটি স্তরে দুর্নীতিরোধকল্পে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা ও জবাবদিহিতা আনয়নের লক্ষ্য প্রশিক্ষণার্থীদের শুদ্ধাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কিছু বলুন।
প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন : বাংলা মায়ের মুক্তির জন্য জীবনকে বাজি রেখে যাঁরা দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দিন রাত মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশের জনগণের মুক্তির জয়গান গেয়েছেন; মুক্তির সংগ্রামকে সশস্ত্র সংগ্রামে পরিণত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন- তাঁরা বীরসন্তান, আমাদের অহংকার ও জাতির গর্ব। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং চেতনায় লালন করি, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে কিছু বলুন।
প্রফেসর ড. মোঃ লোকমান হোসেন : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের জন্য সারা জীবন রাজনীতি করেছেন। তিনি জীবনকে ভোগের নয়, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত করেছেন। সারা জীবন তিনি খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মজুর, তাঁতী, কামার, কুমার আপামর জনগণের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ এবং অনুসরণীয় আদর্শ হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। স¦াধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
তাঁর মৃত্যু বিশ্বের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়, মর্মান্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য। কতিপয় বিপথগামী সেনা অফিসার কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা একটি ঘৃণ্য ও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বহি:প্রকাশ। তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। তাঁর মৃত্যু নেই, তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব।৩