
ভোটের আর বাকি মাত্র একদিন। রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে একযোগে ভোটগ্রহণ হবে।
ভোট দেওয়ার জন্য একজন ভোটারকে যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে-
প্রথম ধাপ: ইভিএমের জন্য নির্ধারিত ছয়টি আসন ছাড়া অন্য আসনগুলোতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ বা চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে ভোট স্লিপটি সংগ্রহ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড ছাড়া শুধু এই স্লিপটি নিয়ে নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে।
দ্বিতীয় ধাপ: স্লিপ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রথমেই প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে দেখাতে হবে। তিনি কেন্দ্রে থাকা ভোটার তালিকা থেকে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। ভোটারের ব্যাপারে পোলিং এজেন্টদের কোনও আপত্তি না থাকলে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা একটি ব্যালট পেপার ইস্যু করবেন। কোনও নারী নেকাব পরে এলে পোলিং এজেন্টদের অনুরোধে একবারের জন্য মুখ খুলে দেখাতে হবে।
তৃতীয় ধাপ: সিল ও ব্যালট পেপার নিয়ে ভোটারকে গোপন কক্ষে যেতে হবে। সেখানে পছন্দমতো প্রার্থীর প্রতীকে সিল দিয়ে ভোট নিশ্চিত করবেন ভোটার। এমনভাবে কাগজটি ভাজ করতে হবে যাতে সিলের রং অন্য কোনও প্রতীকে না লাগে। অসুস্থ বা প্রতিবন্ধীর সঙ্গে থাকতে পারবেন একজন। বৃদ্ধ, অসুস্থ বা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতে সহায়তার জন্য একজন সহায়তাকারী সঙ্গে থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সহায়তাকারীর সঙ্গে ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে।
টেন্ডার ভোট: ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যদি দেখেন আপনার ভোট আগেই দিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে, তাহলে হতাশ না হয়ে ভোটার স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা আঙুলের ছাপ দিয়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারলেই নিজের ভোটটি দিতে পারবেন।
ভোটকেন্দ্র যা মানা: ভোটকেন্দ্রে ভোট স্লিপ ছাড়া আর কিছুই নেওয়া যাবে না। কোনও ধরনের দাহ্য পদার্থ, ম্যাচ, লাইটার, ধারালো বস্তু এমন সব কিছুই নিষিদ্ধ। ব্যাগ বহনেও নিষেধাজ্ঞা আছে। এমনকি মোবাইল ফোনও নিতে পারবেন না।
ইভিএম এ ভোট দেবেন যেভাবে
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে এবার ভোটগ্রহণ হবে। ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
ইভিএম ব্যবহারের পদ্ধতি: স্মার্ট কার্ড, ভোটার আইডি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন প্রিজাইডিং অফিসার। ভোটকেন্দ্রে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার তথ্য যাচাই করে কনফার্ম বাটনে চাপ দেবেন। এর মাধ্যমে গোপন ভোটদান কক্ষে থাকা ‘ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে।
ভোটদান পদ্ধতি: ভোটার গোপন কক্ষে প্রবেশ করার পর ডিজিটাল ব্যালট ইউনিটে ভোট প্রদান করবেন। ডিজিটাল ব্যালট ইউনিটে বামপাশে প্রার্থীদের প্রতীক ও ডানপাশে নাম থাকবে। ভোট প্রদানের জন্য পছন্দের প্রতীকের বামপাশে কালো বোতামে চাপ দিতে হবে। এতে পছন্দের প্রতীকের পাশের সাংকেতিক বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে এর পর ডানপাশের সবুজ বোতামে চাপ দিতে হবে।
ভোট দিতে ভুল হলে যা করণীয়: কোনও কারণে ভুল প্রতীকের পাশের বোতামে চাপ দিয়ে দিলে সবুজ বোতামে চাপ দেওয়ার আগ পর্যন্ত সংশোধনের সুযোগ থাকবে। ভুল সংশোধনের জন্য ডানপাশের লাল বোতামে চাপ দিতে হবে। এতে পূর্বের কমান্ড বাতিল হয়ে যাবে। ভোটার আবারও প্রতীক পছন্দ করার সুযোগ পাবেন। সংশোধন শেষে সবুজ বোতাম চেপে ভোট নিশ্চিত করা যাবে।