Home ক্যাম্পাস খবর ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেবে কোটা আন্দোলনকারীরা

ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেবে কোটা আন্দোলনকারীরা


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

এতে প্রধান তিন নেতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, আহ্বায়ক নুরুল হক, রাশেদ খানের মধ্যে দুই নেতাকে সামনে রেখে প্যানেল গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির কয়েকটি সূত্র।

সূত্র জানায়, পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে জোটবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরগরম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনও এ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল।

ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কোনো ছাত্র সংগঠনেরই তেমন কোনো সফল আন্দোলন সাম্প্রতিক সময়ে নেই। সেদিক থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা এই মঞ্চ দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দাবি আদায়ে সমর্থ হয়েছে।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ১৩টি ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন নিয়ে পরিবেশ পরিষদের সভা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েও তারা সাড়া পাননি।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তই আমরা প্রাথমিকভাবে নিয়েছি। তবে পরিবেশ–পরিস্থিতি বিবেচনা করে জোটবদ্ধও হতে পারি আমরা। স্বাধীনতাবিরোধী যেসব ছাত্রসংগঠন রয়েছে, তারা বাদে যে কারও সঙ্গে আমাদের জোট হতে পারে।’

যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, কোটা বন্ধের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি–ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে মারধর করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চললে নির্বাচনে অংশ নেওয়াটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই সবকিছু নির্ভর করেছ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপের ওপর। তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারে, তবেই তাঁরা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল অভূতপূর্ব।

লাগাতার আন্দোলনের মুখে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৪৬ বছর ধরে চলা কোটাব্যবস্থা বাতিল করে সরকার।