বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে এমদাদুল হক নামের এক ছাত্রকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। শুক্রবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এমদাদুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরকারী সবাই আহত শিক্ষার্থীর তিন থেকে চার ব্যাচ জুনিয়র বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এমদাদুল হক হলের ৪০১ নম্বর কক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন হিসেবে অবস্থান করছিলেন। স্নাতোকত্তর পরীক্ষা শেষে তিনি কক্ষটি ছেড়ে দিবেন। ইতোমধ্যে কক্ষটি বরাদ্দ পেয়েছেন বিপি.এড কোর্সের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম। কিন্তু শুক্রবার হলটিতে অবৈধভাবে দখল করতে যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিষয়টি হলের ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতাকে অবহিত করলেও ছাত্রলীগ কর্মীরা এমদাদুল হককে তার কক্ষে বেধড়ক মারধর করে। এ খবর শুনে তার সহপাঠী ফাহিম হাসান বিষয়টি প্রক্টরকে অবহিত করলে তাকেও হলের সামনে ১৫-২০ শিক্ষার্থী মারধর করেন বলে জানায়। তিনি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের থেকে সম্প্রতি স্নাতোকত্তর সম্পন্ন করেছেন এবং বিপিএড কোর্সে অধ্যয়নরত।
এ ব্যাপারে এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার সহপাঠী ফাহিম হাসান বলেন, পরিবহন দপ্তরের ঝুপড়ি অবস্থানকালে এমদাদকে মারধরের খবর শুনতে পাই। পরে প্রক্টর স্যারকে জানাই। এ সময় পাশে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরা এটি জানতে পেরে আমাকে টেনে-হেঁচড়ে হলের সামনে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী আমাকে হলের ফটকে মারধর করে।
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি জামান নূর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত খুব শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, মারধরের বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
