Home ক্যাম্পাস খবর শিক্ষকদের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে মান সম্মত শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি, এম...

শিক্ষকদের যোগ্যতার উপর নির্ভর করে মান সম্মত শিক্ষা শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি, এম পি


বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন শিক্ষার গুনগত মান নির্ভর করে শিক্ষকদের যোগ্যতার উপর। শিক্ষকদের যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য সরকার দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছে। তিনি আজ সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুন্সী শাহাবুদ্দীন প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, সহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব না থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ হয় না। তাই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিকমূলক কার্যক্রমে জাড়ত থাকতে হবে। এই ধরনের প্রতিযোগীতার ফলে শিক্ষার্থীদের শারিরিক, মানসিক ও আত্মিক বিকাশ ঘটবে। তিনি বলেন প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে টেক্সবই পৌছানো নজিরবিহীন। আওয়ামী লীগ সরকারের  এটি একটি বিশাল অর্জন।

উপমন্ত্রী বলেন আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পরিবেশ সর্ম্পকে সচেতন করে তুলতে হবে। দুনীর্তি রোধ করতে হলে আমাদের চাহিদা সীমিত করতে হবে। অসীম চাহিদার কারণে আমরা দুনীর্তিতে জড়িত হই। শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এই মহান দায়িত্ব শিক্ষকদের । তিনি বলেন স্বাক্ষরতার হার না বাড়িয়ে কারিগরি বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে।

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজন বর্তমান সরকারের একটি অনন্য উদ্যোগ। এই প্রতিযোগিতার আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহ শিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহিত করা। সাংস্কৃতিক ১৪ টি ইভেন্ট (উচ্চাঙ্গ নৃত্য,লোক নৃত্য,দেশাত্ববোধক গান,জারী গান,রবীন্দ্র সংগীত,নজরুল সংগীত,লোকসংগীত,হামদ/নাত,কবিতা আবৃত্তি,ক্বেরাত,তাৎক্ষনিক অভিনয় ,বাংলা রচনা,বিতর্ক প্রতিযোগিতা) ইত্যাদি বিষয়ে সারা বাংলাদেশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করা।

 

এছাড়া প্রতিটি গ্রুপে ( ৬ষ্ঠ-৮ম, ৯ম-১০ম,১১-১২শ,১৩শ-১৭শ ) শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচন করা হয়। রোভার স্কাউট,গার্লস গাইড এবং বি.এন.সি.সি,রেঞ্জার ইত্যাদি ১৫ টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জন,প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয় এবং০১ জন জেলা শিক্ষা অফিসার ও ০১ জন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে নির্বাচন করা হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৮৯ জন কে শ্রেষ্ঠ হিসাবে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই বারই প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

 

প্রতিযোগীতায় শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা অফিসারের ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,  জেলা –চট্টগ্রাম, মো: সাইফুল ইসলাম, লংগদু রাঙ্গামাটি নির্বাচিত হন। প্রতিযোগীতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরিতে রাজশাহী কলেজ শ্রেষ্ঠ কলেজ,  ময়মনসিংহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়, খুলনার দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিউট শ্রেষ্ঠ কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ড. মো: গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ, ঠাকুরগাঁও, ড. সৈয়দ আব্দুল আজি যশোর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, যশোর, মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান, ইটাউরী মহিলা আলিম মাদ্রাসা, মৌলভীবাজার, শাহনাজ কবীর, এম ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, নির্বাচিত হন।  শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর ক্যাটাগরিতে নৈঋতা হালদার , পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল, অনন্যা শাহরিন প্রমি, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী, মুহাম্মদ ফয়সাল , জামেয়া আমমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম, সুরঞ্জন দাস, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রংপুর নির্বাচিত হন।