Home আইন/আদালত হাজীর ছদ্মবেশ নিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করলো পুলিশ

হাজীর ছদ্মবেশ নিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করলো পুলিশ


বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সিলেটের জৈন্তাপুরে অভিনব কায়দায় ধর্ষণ মামলার মূল আসামী ধর্ষককে গ্রেফতার করছে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষকের নাম রেজওয়ান। সে নিজের ভাতিজিকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার সূল আসামী।

জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুরের দরবস্ত ইউনয়নের শুকইনপুর গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে অভিযুক্ত চাচা রেজওয়ান নিজের নিকটাত্মীয় ভাতিজিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে সে গা-ঢাকা দেয়। নিকট আত্মীয় ভাতিজিকে অপহরণ করে দূরবর্তী গ্রামের এক সিএনজি চালকের বাড়িতে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সামাজিক ভাবে ধর্ষিতার পিতা বিচার চাইলেও ন্যায়বিচার পাননি।

অপরদিকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে বিচারের নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য সময়ক্ষেপণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে ন্যায়বিচার না পেয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে ঘটনার ২মাস পর গত ১৭ জুলাই জৈন্তাপুর মডেল থানায় ধর্ষক রেজওয়ানকে প্রধান আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করে সত্যতা পায় এবং ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এ ধরণের একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে কারাভোগ করেছে বলেও তথ্য বেরিয়ে আসে।

পুরাতন মামলায় কারাভোগ করে বের হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে সে নতুন করে নিকটাত্মীয় ভাতিজিকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। থানা পুলিশ গত ১৮ জুলাই ভিকটিমের লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসাবে গণ্য করে যাহার নং ৮/১০৪। মামলার প্রকৃত রহস্য অনুসন্ধান ও ধর্ষক রেজওয়ানকে আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম উপজেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চতুর নারীলোভী ধর্ষক পালিয়ে যায়।

এদিকে পুলিশ মামলটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে ধর্ষককে আটক করতে মরিয়া হয়ে উঠে। অবশেষে পুলিশ আসামী গ্রেফতার করেত ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই আজিজুর রহমান হাজী বেশ ধারণ করে শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ৩টায় উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের বালিপাঁড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক রেজওয়ান মিয়াকে (২৫) আটক করে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি শ্যামল বনিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এ ধরনের ঘটনায় কারাভোগ করেছে। কারাগার থেকে বের হয়েই সে আবারও ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে। রোববার তাকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।