বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশে শীতকাল দীর্ঘস্থায়ী হয় না। শীতে সারা দেশে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকলেও উত্তরাঞ্চলের কোনো কোনো বছর শীতকালে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এ সময়ে গবাদি পশুর নানা রোগ দেখা দেয়। ফলে গবাদি পশুর দেহের ওজন কমে যায় এবং দুধ উৎপাদন কমে যায়।
শীতকালে গবাদি পশুর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। মোটা কাপড় দিয়ে পশুর শরীর ঢেকে দিতে হয়। মোটা কাপড় না থাকলে চটের বস্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময়ে গবাদি পশুকে বাইরের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সকল খাবার বাড়িতে অথবা খামারের গোয়ালে দিতে হবে।
পশুকে গরম খাবার খাওয়াতে হবে, যেমন গরম পানি, ভাতের গরম ফেনা; ফলে পশুর খাদ্য চাহিদা বাড়বে এবং ওজন স্বাভাবিক থাকবে। চিটাগুড় পানির সঙ্গে মিশিয়ে গরম করেও খাওয়ানো যেতে পারে।
পশুর থাকার জায়গায় মেঝেতে খড় বিছিয়ে দিতে হবে। প্রতিদিন খড়গুলো রোদে শুকাতে হবে।
গোয়াল ঘরে যেন ঠান্ডা বাতাশ না ঢুকতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। শীত তীব্র হলে ঘরে কৃত্রিম তাপের ব্যবস্থা করতে হবে। শীতকালে গবাদিপশুর ঘরের তাপমাত্রা ৫৫-৬০ ডিগ্রী ফারেনহাইট রাখতে হবে।
যেসব রোগ শীতে দেখা দেয়
শীতকালে গবাদি পশুর বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় এর মধ্যে আঁটালি, গলা ফোলা, ক্ষুরারোগ, বাদলা, ক্যাসিওলিয়াসি, তাড়কা রোগ দেখা দেয়। এছাড়া শীতে জ্বর, নাক দিয়ে তরল পড়া কিংবা ভাইরাস জনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এসব রোগ দেখা মাত্রই পশুকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
পশুর প্রতি যথেষ্ট সময় ও সঠিক ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে শীতকালে পশুকে সুস্থ রাখা সম্ভব। সূত্র: আজকের কৃষি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2024 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.