Home জাতীয় চলে গেলেন লেখক ও সাংবাদিক মোঃ নাসির উদ্দিন

চলে গেলেন লেখক ও সাংবাদিক মোঃ নাসির উদ্দিন


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : সংস্কৃতিকর্মী, সমাজকর্মী, শিক্ষানুরাগী, প্রতিশ্রুতিশীল লেখক ও সাংবাদিক মোঃ নাসির উদ্দিন আজ দুপুর ১:৫৫ মিনিটে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তার জানাজা আজ বাদ এশা ঢাকা সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

লেখক ও সাংবাদিক মোঃ নাসির উদ্দিন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ২০০৫ সালের অক্টোবরে সদা হাস্যোজ্জ্বল পরোপকারী এ মানুষটির রক্তে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে।

এ দেশের সকল শিশুর আনন্দময় জীবন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রত্যাশী, মানবতাবোধে সদা জাগ্রত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নাসিরের স্ত্রী হামিদা নূর এর আকুল আবেদন তাদের দুই সন্তানের (নাবিলা-১০ম শ্রেণী ও হাসিব-৫ম শ্রেণী) ভবিষ্যৎ মানবিক বিবেচনায় এনে সুচিকিৎসার লক্ষ্যে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়ালে বেঁচে যাবে একটি প্রাণ, একটি অসহায় পরিবার, জয় হবে মানবতার। এমনি এক মানবিক আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবতার ‘মা’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক নাসিরের চিকিৎসার সকল ব্যয় ভার বহন করার দায়িত্ব নিয়ে মানবতার জয় দেখালেন। তিনি আবারও প্রমাণ করলেন, মানুষ মানুষের জন্য। এ লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নাসির ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। গত ২৫ এপ্রিল ২০১৯ দুপুরে গণভবনে মোঃ নাসির উদ্দিন এর স্ত্রী হামিদা নূর এর আকুল আবেদন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে গ্রহণ করে তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নাসিরকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, টাকার অভাবে তোমার চিকিৎসা হবে না, এটা তো হতে পারে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাসিরকে আরো বলেন, যদি সিএমএইচ-এ তোমার সফল চিকিৎসা সম্ভব হয় তবে দেশেই চিকিৎসা নাও। আর যদি দেশে সম্ভব না হয় তবে ভারতের টাটায় যোগাযোগ কর। টাকার কথা চিন্তা করবে না। যেহেতু আমার নিকট এসেছ। তোমার চিকিৎসা খরচ আমি (প্রধানমন্ত্রী) দেব। অনেককেইতো দিচ্ছি, তোমাকে দেব না কেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাসিরকে আরও বলেন, মহান আল্লাহ্র ওপর ভরসা রাখ। ক্যান্সারের রোগীদের ফাইটার (যোদ্ধা) হতে হয়। তোমাকেও যুদ্ধ করে সাহসের সাথে বেঁচে থাকতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে তার সামরিক সচিব জয়নুল আবেদিনকে নির্দেশ দেন সিএমএইচ-এ নাসিরের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা সিএমএইচ- এর প্রধান ‘কমানডেন্ট’ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তওফিক হাসান সিদ্দিকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নাসিরের বোনম্যারো টেস্টসহ রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। ১২/০৫/২০১৯ইং রবিবার ব্যয়বহুল একটি পরীক্ষা HLA Typing করা হয়। ফুল ম্যাচিং হলেই নাসিরের ‘এ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্লান্ট (BMT)’ মূল চিকিৎসা সিএমএইচ-এ করা সম্ভব হবে বলে জানান, হাসপাতালের বিএমটি বিভাগের প্রধান কর্নেল হক মাহফুজ।
এরপর থেকে সিএমএইচ হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।