Home ঢাকা ক্যাম্পাস পরিবেশ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবেঃ ঢাবি উপাচার্য

পরিবেশ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবেঃ ঢাবি উপাচার্য


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পরিবেশ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। আজ ৪ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ১৯৯৫-৯৬ সেশনের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস এলায়েন্স (ডুফা)’- এর তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
ডুফা’র সভাপতি এ কে এম এনায়েত হোসেন পল্লবের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী প্রতিনিধি ড. নূর আহমেদ খন্দকার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন । স্বাগত বক্তব্য দেন ডুফা’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম আশা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মুজিববর্ষ ২০২০’ উপলক্ষ্যে বছর ব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। এসব কর্র্মসূচির মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাসকে সবুজায়ন করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনের আয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আটোমেশনের আওতায় আনা প্রভৃতি। ইতোমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে পলিথিন ও প্লাস্টিকমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
পরে মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে পৃথক এক অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রেন্ডস অ্যালামনাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের আহবায়ক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।