Home ব্রেকিং দেশে আর নিম্নমানের কাজ হবে না: এলজিআরডি মন্ত্রী

দেশে আর নিম্নমানের কাজ হবে না: এলজিআরডি মন্ত্রী


আশিক সরকার :  দেশের উন্নয়নে যেকোনো প্রকল্প নেওয়া হোক না কেন  তা অবশ্যই গুণগত এবং টেকসই হতে হবে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে আর কোনও নিম্নমানের কাজ করতে দেয়া হবে না।

মন্ত্রী সোমবার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষ থেকে দেশের ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজ খবর নিতে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে অনলাইনে এক সভায় এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দেশের রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ ছোট বা বড় যে কোনও প্রকল্প নেয়া হোক তা মান-সম্মত এবং টেকসই হতে হবে। মানুষকে  উন্নয়নের সুফল দিতে হলে যেকোনও কাজ টেকসই এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন করতে হব।

গুণগত মানসম্পন্ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে গিয়ে কেউ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলে তার মন্ত্রণালয় তা শক্ত হাতে মোকাবেলা করবে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের উন্নয়নে আর কোনও নিম্নমানের কাজ করতে দেয়া হবে না। কেউ যদি নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেকোনোও ধরনের ঝুঁকি এবং সমস্যার সম্মুখীন হলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিশ্রমকে বাস্তবে রূপ দিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানকে দেশের উন্নয়নে একযোগে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সমগ্র দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিবিড়ভাবে জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন দেশের উন্নয়ন অনেকাংশেই স্থানীয় সরকার বিভাগের উপর নির্ভর করে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই বর্ষাকালে অতিবর্ষণ এবং উজান থেকে পানি এসে অনেক চরাঞ্চলে তলিয়ে যায়। এতে করে বাড়িঘর, ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। এসব প্রতিকুলতা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান যোগ দেন।

উল্লেখ্য, বন্যা মোকাবিলা সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সমন্বয় করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় এবং বন্যাকবলিত সকল জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এছাড়া, বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং পানি ভর্তি জেরিক্যান বিতরণের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি বগুড়া, কুড়িগ্রাম, ও সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় অস্থায়ী নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রস্তুত রেখেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। চাহিদা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ আছে।

বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ডুবে যাওয়া নলকূপ জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার জেলা ও উপজেলায় আছে বলেও সভায় জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।