Home ব্রেকিং জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ‘শুভ জন্মদিনে’ আকাশ কুমার ভৌমিক প্রাণঢালা অভিনন্দন...

জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ‘শুভ জন্মদিনে’ আকাশ কুমার ভৌমিক প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা


আশিক সরকার  : আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের আজকের এই দিনে মধুমতি নদীর তীরে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।  তারপরও দেশ-বিদেশে নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত করা হবে তাঁর দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনায়।

জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন বিচিত্র এবং সংগ্রামমুখর। জন্মের পর থেকে দেখে আসছেন পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যাপিত জীবন। প্রতিনিয়ত জেল-জুলুমের মধ্যদিয়ে পিতার আপত্য স্নেহবঞ্চিত শেখ হাসিনা ভেঙে পড়েননি। বরং পিতার সংগ্রামশীল জীবন, বাংলার মানুষের প্রতি গভীর প্রেম তাঁকে প্রলুব্ধ করেছে বেশি। শিশু থেকে যৌবনের প্রান্তসীমা পর্যন্ত বাবা নয় বরং মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেসা মুজিবের যে ভূমিকা তাকেই গ্রহণ করেছেন। যা ছিল একজন দেশপ্রেমিক জননেতার জীবন ঘনিষ্ঠ চাওয়া না পাওয়ার চালচিত্র। কন্যা হিসেবে পিতার আদর্শ দেশপ্রেমকে বড় করে দেখেছেন। তাই হয়তো বঙ্গবন্ধুর মতো তিনি বলতে পারেন, ‘আমার হারাবার কিছু নেই, বাংলাদেশের মানুষের জন্য পুরো পরিবারকেই উৎসর্গ করেছি।’

পিতামহ শেখ লুৎফর রহমান এবং দাদি শাহেরা খাতুনের প্রিয় নাতনি হাসিনা ওরফে হাসু। শৈশব-কৈশোর কেটেছে দাদা-দাদির নিবিড় সান্নিধ্যে- টুঙ্গিপাড়ায়। গ্রামের ধূলিকণা আর খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গেই তাঁর বেড়ে ওঠা। শিক্ষাজীবন শুরু হয় স্থানীয় পাঠশালায়। পিতা শেখ মুজিব তখন সারা বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন বাঙালির ভোট এবং ভাতের অধিকার নিয়ে।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পুরান ঢাকার মোগলটুলীর রজনী বোস লেনে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে ১৯৬১ সালের ৩ নভেম্বর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে চলে আসেন। শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলীর নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। এই তাঁর শহর জীবনের গল্প। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে চলে আসেন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার আমৃত্যু ওই বাড়িতে বসবাস করেছেন।

১৯৬৫ সালে শেখ হাসিনা আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার বকশিবাজার পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ) থেকে। ওই বছরেই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলেজে পড়াকালীন তিনি কলেজ ছাত্রী সংসদের সহসভানেত্রী নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম বিধায় কিশোরী বয়স থেকেই তাঁর রাজনীতিতে পদচারণা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে আইয়ুববিরোধী এবং ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬ দফা দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তার প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু পরিবারে নেমে আসে নানাবিধ নির্যাতন। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। আটক অবস্থায় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করে। ১৯৬৮ সালের এই বিপদসঙ্কুল দিনে কারাবন্দি পিতা বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর শুরু হয় ১১ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবার ঘাতক কর্তৃক নির্মমভাবে নিহত হওয়ার সময় শেখ হাসিনা বিদেশে ছিলেন বলে জানে বেঁচে যান।

১৯৮১ সালের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সামরিক জান্তা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে চলে তাঁর সংগ্রাম।
১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয় তাঁর উপর। অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক আহত হন তিনি।

১/১১ পর শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয় মাইনাস টু তত্ত্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরতে চাইলে তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। দেশ-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সব বিপদ মাথায় নিয়ে ২০০৭ সালের ৭ মে শেখ হাসিনা তাঁর প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। চলে আইনি লড়াই। সারা বাংলায় আওয়াজ ওঠে শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন নয়। বদলে যায় দৃশ্যপট। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ১/১১ কুশীলবরা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম সংসদ নির্বাচন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

 

তারপর শুধু তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নির্মাণের গল্প। যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা। বর্ণাঢ্য সংগ্রামশীল রাজনৈতিক সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, শক্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সন্ত্রাস দমনে তাঁর কার্যকর ভূমিকার জন্য আজ তিনি বিশ্বনেতার মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এই সময় স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনকে ধুলোয় মিশিয়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে আসেন। খুব শিগগির আমরা মধ্যম আয়ের কাঠামোতে প্রবেশ করব। তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ রূপকথার গল্পের মতো উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কান্ডারী, দারিদ্রবিমোচনের প্রতীক, নারীর ক্ষমতায়ণের প্রতীক, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘শুভ জন্মদিনে’ তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও মুজিবীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কৃতি সন্তান। কাউন্সিলর ৫৯ নং ওয়ার্ড ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। সভাপতি- ধনাগোদা স্কুল এন্ড কলেজ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর, ঢাকার জাতীয় শ্রী শ্রী শনি মন্দির কমিটি, শ্মসান কমিটি। যুগ্ম সম্পাদক কদমতলী থানা আওয়ামীলীগ নেতা , ঢাকা গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষের বন্ধু কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক।’’

আকাশ কুমার ভৌমিক ক্তব্য, আজ শেখ হাসিনার জন্মদিন। এই দিনে তাঁকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। কামনা করি তিনি দীর্ঘায়ু হন। আরো উন্নয়নশীল কাজে নিজকে নিয়োজিত করুন। যাতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। ধন্য প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা