Home আইন/আদালত কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও দুইজনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও দুইজনের যাবজ্জীবন


বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মাছ ধরা নিয়ে কৃষক আশিদ মিয়া হত্যার ঘটনার ১০ বছর পর রায়ে আদালত একজনকে ফাঁসি, দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন তাড়াইল উপজেলার পশ্চিম জাওয়ার গ্রামের মৃত ডেণ্ডু মুন্সীর ছেলে আব্দুল্লাহ (৫৫) এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন পূর্ব জাওয়ার গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে আ. ওয়াহাব (৬৫) ও পশ্চিম জাওয়ার গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মারফত মিয়া (৪৫)। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আ: জাহের ও নজরুলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের সকাল ৭টার দিকে তাড়াইল উপজেলার পশ্চিম জাওয়ার গ্রামে সরকারি বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আব্দুল্লার ছেলে ও আশিদ মিয়ার ছেলে উজ্জ্বলের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে উজ্জ্বল মিয়াকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন আশিদ মিয়া গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আশিদ মিয়াকে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে তারা চলে যান। পরে দুপুর পৌনে একটার দিকে পার্শ্ববর্তী বিড়ি জাওয়ার মৌজাস্থ খাগাটিয়া বটগাছ তলায় আশিদ মিয়াকে একা পেয়ে আসামিরা ঘিরে ফেলে। এরপর তখন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে আশিদ মিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। এ অবস্থায় আশিদ মিয়ার ছেলে উজ্জ্বলের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন গিয়ে আশিদ মিয়াকে মৃত অবস্থায় পায়।

এ ব্যাপারে নিহত আশিদ মিয়ার ভাই আনিছ মিয়া বাদী হয়ে ৩১ অক্টোবর পাঁচজনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১১ সনের ৩১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।