Home খেলাধূলা চট্টগ্রামকে থামালো ঢাকা রোমাঞ্চকর ম্যাচে

চট্টগ্রামকে থামালো ঢাকা রোমাঞ্চকর ম্যাচে


প্রথম পাঁচ ম্যাচে ছিল না একটিও ফিফটি। মুশফিকুর রহিমের নামের পাশে স্কোরগুলো ছিল বেশ হতশ্রী। ষষ্ঠ ম্যাচে তিনি পেয়ে গেলেন বড় রান। তাতে উড়লো বেক্সিমকো ঢাকা।

ম্যাচজয়ী ৭৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেওয়ার পর দারুণ নেতৃত্বে মুশফিক জেতালেন ঢাকাকে। উড়তে থাকা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে থামালো ঢাকা।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাটিং করে ঢাকা ৪ উইকেটে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে চট্টগ্রামের ইনিংস থামে ১৩৮ রানে। চট্টগ্রাম প্রথম হার দেখলো ৭ রানে। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর ঢাকা জিতলো টানা তৃতীয় ম্যাচ।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকার ওপেনার নাঈম হাসান পর পর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে শরীফুল ইসলামকে এলোমেলো করে দিয়েছিলেন শুরুতেই। কিন্তু বাঁহাতি পেসার ওই ওভারেই নেন প্রতিশোধ। স্লোয়ার ডেলিভারিতে নাঈম ক্যাচ তুলে দেন কভারে। তিন ম্যাচ পর দলে ফিরে সাব্বির রহমান আজও ছিলেন বিবর্ণ। ১০ বলে ৭ রান করে আউট হন রাকিবুল হাসানের এলবিডব্লিউতে। আরেক স্পিনার নাহিদুল ইসলাম টিকতে দেননি তানজিদ হাসান তামিমকে (০) ।

২৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ঢাকাকে উদ্ধার করেন মুশফিক ও ইয়াসির আলী রাব্বি। তাদের জমাট জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে সম্মানজনক স্কোর পায় ঢাকা। মুশফিক ৫০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪৩ স্ট্রাইক রেটে ৭৩ রান করেন। সাজঘরে ফেরার আগে ইয়াসির ৩৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ৩৪ রান। দুজন চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৮৬ রান।

চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন নাহিদুল, শরীফুল, রাকিবুল ও মোস্তাফিজুর রহমান।

স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই চট্টগ্রাম শিবিরে আঘাত করে ঢাকা। রুবেল হোসেন তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ করেন সৌম্য সরকারকে (০)। তিনে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় দারুণ এক কভার ড্রাইভে রানের খাতা খোলেন। এরপর শফিকুল ইসলামকে উড়ান এক্সট্রা কভার দিয়ে। করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে উইকেটে নেমে দারুণ কিছু শট খেললেও যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। স্পিনার রবিউল ইসলাম রবির বলে নাঈমের হাতে ক্যাচ দেন ২৬ রানে।

আরেক প্রান্তে লিটন দাশ ছিলেন ধ্রুপদী। উইকেটের চারপাশে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন শট খেলেন। কিন্তু দলকে শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেননি। রবির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেন। অবশ্য তার আউটের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে শফিকুলকে। শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে দাঁড়িয়ে সামনে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ দেন ঢাকার ফিল্ডার।

এরপর মোহাম্মদ মিথুন (২১), মোসাদ্দেক হোসেন (১৩), শামসুর রহমান (১০) চেষ্টা করলেও তাদের অবদান কাজে আসেনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান লাগতো চট্টগ্রামের। প্রথম বলে নাহিদুলকে বোল্ড করলেও দ্বিতীয় বলে মোস্তাফিজের হাতে ছক্কা হজম করেন মুক্তার আলী। পরের চার বলে ২ রানের বেশি দেননি।

আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া মুক্তার এ ম্যাচে ৩৯ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রুবেল হোসেন ও রবি। ১ উইকেট পান শফিকুল।