Home বিনোদন ‘বিশ্বসুন্দরীর প্রতিটি মুহূর্ত ভালোলাগার, ভালোবাসার’

‘বিশ্বসুন্দরীর প্রতিটি মুহূর্ত ভালোলাগার, ভালোবাসার’


ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি। নজরকাড়া গ্ল্যামার আর নিজের অভিনয়গুণে দাপটের সঙ্গেই কাজ করছেন ঢালিউডে। সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন পরীমনি। পাশাপাশি শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে পরী অভিনীত চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’। বুধবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তৌকীর আহমেদের ‘স্ফুলিঙ্গ’ নামের নতুন একটি চলচ্চিত্রে। এসব বিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদের হয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তুহিন খান নিহাল

শুরুতেই আমি বলব ‘বিশ্বসুন্দরী’র প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে ভালোলাগার, ভালোবাসার। চয়নিকা চৌধুরী যখন সিনেমাটির নাম ঘোষণা করেন। শিল্পী নির্বাচন ঠিক করেননি, আমিও চুক্তিবদ্ধ হয়নি। তখনি খবর রাখছিলাম কে এ সিনেমায় অভিনয় করবেন। তবে যখনি সিনেমাটি আমার কাছে চলে আসে, অভিনয়ের বিষয়ে কথা হয়, ঠিক তখন থেকেই আমি অপেক্ষা করছিলাম কবে রিলিজ হবে বিশ্বসুন্দরী। শুরুতে অনেকেই ছবিটি নিয়ে কনফিউজ ছিল। তারা ভেবেছেন ‘বিশ্বসুন্দুরী’ কোনো প্রতিযোগিতা। নামটার সঙ্গে বিভিন্ন গল্প জড়িয়ে দিয়ে অনেকেই ভাবা শুরু করলেন। যখনি পোস্টার-ফাস্টলুক প্রকাশ পায়, তখন সবার মাঝে অন্যরকম একটা ভাবনা শুরু হলো। এখনো অনেকে ভাবেছে গল্পটা নিয়ে। তাই আমাদের আগ্রহের জায়গাটা একটু বেশিই।

দর্শক কেন দেখবে ‘বিশ্বসুন্দুরী’। আপনার কী অভিমত?

অনেকগুলো কারণেই বিশ্বসুন্দুরীর প্রতি আগ্রহ রয়েছে দর্শকের। সবাই জানে এটা চয়নিকা চৌধুরীর প্রথম সিনেমা। এতগুলো হিট নাটক উপহার দেওয়ার পর ওনার একটা জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। আবার সিয়াম-পরীকে প্রথমবার একসঙ্গে পর্দায় দেখা মিলছে। আমাদের দুজনের আলাদা ফ্যান-ফলোয়ার রয়েছে। আমরা কেমন অভিনয় করেছি, দর্শকদের দেখার আগ্রহ তো আছেই। বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম গল্প নিয়ে ভাবেন। বিশ্বসুন্দরীতে সুন্দর একটি গল্পও রয়েছে। সবমিলিয়ে আশা করছি ‘বিশ্বসুন্দুরী’ কাউকেই নিরাশ করবে না।

সিয়ামের সঙ্গে প্রথম সিনেমা, কাজের অভিজ্ঞতাটা শুনতে চাই? 

সিয়ামকে নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। তার সঙ্গে প্রথম আলাপ ২০১৫ সালে একটা টিভি অনুষ্ঠানে। আমি ছিলাম গেস্ট, সিয়াম হোস্ট। আমার ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবির প্রমোশনে গিয়েছিলাম। শো শেষে সেটের সবাই মিলে ছবি, সেলফি তুলতে তুলতেই সিয়ামকে বলেছিলাম, তুমি সিনেমার হিরো হয়ে যাও। হিরো হিরো ভাবভঙ্গি করো কিন্তু তুমি। উপস্থিত সবার সঙ্গে সিয়ামও ব্যাপারটা একেবারে হো হো হেসে উড়িয়ে দিল। এখন তো আর কেউ হাসতে পারবে না। সে যে এখন বাংলার হার্টথ্রব হিরো। তো কী দাঁড়াল এবার! ফলল তো আমার কথা! তবে সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করতে এসে আমার মনে হয়েছে ও নিজেই পুরো একটি সিনেমা, নিবেদিত সিনেমাপ্রেমী। আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। এটুকু বলব, এত সহযোগিতা আজ অবধি কোনো নায়কের কাছ থেকে আমি পাইনি।

ফোর্বসের ১০০ ডিজিটাল তারকায় বাংলাদেশের একমাত্র তারকা হিসেবে আপনার নাম এসেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

যেদিন ঘোষণাটা এলো সেদিনই আমার একটি টিভি শো ছিল। সঙ্গে ছিলেন চয়নিকা চৌধুরী। উনি তাড়াহুড়া করছিলেন দেরি হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই লক্ষ করলাম ফোনে অনেক এসএমএস এবং কল আসা শুরু করল। প্রায় এসএমএসেই লেখা অভিনন্দন। আমি মনে করেছিলাম ১১ তারিখ সিনেমা রিলিজ, এজন্যই সবাই অভিনন্দন দিচ্ছেন। তবে পরিচিত অনেকেই অনবরত ফোন দিয়েই যাচ্ছেন। তখন বাসায় সবার সঙ্গে একটু লাউড হয়ে গেলাম। কেটে দেওয়ার পরও অনেকে ফোন করছেন। পরে পরিচিত এক সাংবাদিক ভাই ফোন করে পার্টি দেওয়ার কথা বলে। আমি তখনো কিছুই বুঝতে পারিনি। বললাম ১১ তারিখ তো এখনো আসেনি। তখন উনি আমাকে বিষয়টি জানালেন। পরে প্রোগ্রামটি শেষ করে বাসায় এসে থমকে গেলাম। এত ফোন, এত এসএমএস। সবার এত বেশি উইশ। ঠিক তখনি একটা বিষয় অনুভব করলাম, মানুষ তো স্বপ্ন দেখেন! যার একটা কারণও থাকে। সেদিন মনে হলো আমার স্বপ্নটা আরো একটু বড় হয়ে গেল। পাশাপাশি ভালো কাজ করার চ্যালেঞ্জটাও রয়ে গেল। এই অ্যাচিভমেন্ট আমার না। যারা আমাকে এত বেশি ভালোবেসেছেন, সাপোর্ট দিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণই তাদের। আমি তাদের কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।

নতুন সিনেমা ‘স্ফুলিঙ্গ’। প্রস্তুতির জায়গাটা কেমন? 

তৌকীর ভাইয়ের এই সিনেমার প্রস্তুতি এখনো শুরু করিনি। বিশ্বসুন্দুরীর জন্য ওয়েট করছিলাম। আজ শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আমি জয়েন করছি না। রবিবার থেকে শুটিংয়ে যাব। এই সিনেমাটির গল্পটি পাওয়ার পরই অনুরোধ করেই শিডিউল পিছিয়েছি। আমি তৌকীর ভাইয়ের কাছে আরো একটা জিনিস চেয়েছি, পাশাপাশি তার সহযোগিতা। কারণ এখানে গ্রæমিংয়ের একটা বিষয় রয়েছে। যেহেতু আমি এই চরিত্রটি সম্পর্কে এখনো পূর্ণাঙ্গ জানি না। তাই আমার গ্রæমিং প্রয়োজন। যার কারণ হলো এতগুলো লোক হলে গিয়ে ছবিটি দেখবে, তাদের কাছে আমাকেই চরিত্রটি বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। যতটুকু জেনেছি এই চরিত্রে আমার লুকের একটা বিষয় রয়েছে। অপেক্ষা করছি কবে তা আমার দর্শকদের জানান দিতে পারব।

গ্রুমিংয়ের কথা বললেন, আমাদের দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা গ্রুমিংয়ের সুযোগ কতটুকু পায়? 

একদমই পায় না। কিন্তু এটা চিনিয়ে বা দাবি করে নিতে হয়। কেউ কেউ বিষয়টি রিসিভ করতে চায়ও না। তবে আমার মতে, সিনেমা একটি টিমওয়ার্ক। সব সময় কাজের ব্যাপারটা বা ইচ্ছাটা থাকতে হয়।

 
facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
email sharing button
sharethis sharing button