Home সারা বাংলা আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র,গণমানুষের নেতা

আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র,গণমানুষের নেতা


আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, জাতীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের দুই বারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র, গণমানুষের নেতা। রাজ্জাক ছিলেন একটি ইতিহাস, কিংবদন্তী। ছাত্রজীবনে তিনি বাঙালি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মানুষের ‘ভাত এবং ভোটের’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর একান্ত মানুষ হয়ে তিনি কাজ করেছেন।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকের নবম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ডামুড্যা উপজেলা যুব কল্যাণ ট্রাস্ট, ঢাকা। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান আজম।

আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতি চারণ করে এনামুল হক শামীম বলেন, ১৯৮১ সালে রাজ্জাক ভাই এর সাথে আমার প্রথম পরিচয়। সেই ছোট থেকেই রাজ্জাক ভাই এর আদর, স্মেহ ভালোবাসা পেয়েছি। তিনি সব সময় সব বিষয়ে আমাদের খোজ-খবর নিতেন। রাজ্জাক ভাই খুব কাছ থেকে আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর, শাসন পাওয়ার সুভাগ্য হয়নি পেয়েছি রাজ্জাক ভাই এর আদর-ভালোবাসা, শাসন, দিক নির্দেশনা। তাকে কখনও দেখিনি নিজেকে প্রচার করতে। সাধারণ মানুষ, দল এবং কর্মীদের জন্য তিনি সর্বদা কাজ করেছেন।

উপমন্ত্রী বলেন, আদর্শের রাজনীতি করে গেছেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আপাদমস্তক একজন দেশপ্রেমিক ত্যাগী রাজনৈতিক ছিলেন। তিনি জাতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন মানুষ মানবতা ও উন্নয়নের আজন্ম সাধক। আমাদেরকে তার রাজনৈতিক আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী ও দোসরদের আশ্রয়স্থল। আজকে তারা ৭১ এবং ৭৫’র প্রেতাত্মাদের নিয়ে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। কোভিড ১৯ এর মধ্যে গুজব সন্ত্রাস করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান সেখানে নেই, সেটা তাদের দলের নেতারাই বলছেন। তাই বীরমুক্তিযোদ্ধা যারা ঐ দলে আছেন, বেরিয়ে আসতে বলবো। কেননা মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান বঙ্গবন্ধু কন্যাই শুধু দিতে পারেন। মুক্তিযোদ্ধা যে কোন সময়ের চেয়ে এখন সম্মানিত হচ্চেন। আপনারাও আসেন সম্মান পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নে বিশ্বের রোল মডেল। আজকে প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের জ্যৈষ্ঠপুত্র নাহিম রাজ্জাক এমপি, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরি সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ মোস্তাক আহমেদ প্রমূখ।