Home অন্যান্য ছাত্রলীগকে সম্পদের পরিবর্তে শিক্ষা ও জনসেবায় মন দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

ছাত্রলীগকে সম্পদের পরিবর্তে শিক্ষা ও জনসেবায় মন দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী


স্টাফ রিপোর্টারঃ সম্পদ তৈরির দিকে নজর না দিয়ে শিক্ষার্জন এবং দেশ ও জনসেবায় ব্রতী হতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে নিজেকে যে গড়ে তুলতে পারবে সে-ই সফল হবে। আর যদি অর্থ-সম্পদের দিকে নজর চলে যায়, সফল হতে পারবে না। ভোগ-বিলাস ছাড়া আর কিছু হবে না। কাজেই জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে নিজেদের গড়ে তোল। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হও। দেশের মানুষের জন্য কাজ করো।’

সোমবার (৪ জানুয়ারি) ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি। শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শান্তি আমরা চাই। এটা মাথায় রেখে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আদর্শ নিয়ে চলতে হবে, এটাই আমি চাই। প্রত্যেকে আদর্শ নিয়ে না চলতে পারলে কখনও বড় হতে পারবে না। ধন-সম্পদ অনেক বানাতে পারবে, কিন্তু দেশকে কিছু দিতে পারবে না। মানুষকে কিছু দিতে পারবে না। নিজে ভোগ করতে পারবে। আবার করোনাকালে সেই ভোগও সীমিত হয়ে যায়। এই বাস্তবতাও আমরা দেখছি।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র এবং অর্থ তুলে দিয়ে বিপথগামী করতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিপরীতে তিনি ছাত্রদের হাতে কলম তুলে দিয়েছেন। তার সরকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে কারিগরি, ভ্যাটেরিনারি, অ্যারোনটিক্যাল, এভিয়েশনসহ নানা খাতে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সব শিক্ষার্থীকে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সুশিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারিতে ছাত্রলীগ অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগ সব সময় অগ্রগামী দল। করোনাকালে ছাত্রলীগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে, বৃক্ষরোপণ করেছে, করোনা আক্রান্তদের সহায়তা করেছে। মানুষের সেবার জন্য কাজ করেছে, সেগুলো করে যাবে। ছাত্রলীগের ছেলেরা এটাই প্রমাণ করেছে কোনও কাজকে তোমরা ছোট করে দেখো নাই।’
২ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আবারও বলবো, যখনই গ্রামে যাবে কাউকে ছোট করে দেখবে না। কোনও কাজকে ছোট করে দেখবে না। সব কাজেরই গুরুত্ব আছে, সব কাজেরই মূল্য আছে। এটাই সব সময় নিজের আদর্শ হিসেবে নিতে হবে। বড় সে হতে পারে যে নিজেকে ছোট করে দেখতে পারে। আর ওপর দিকে তাকিয়ে চলতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। সেজন্য মাটির দিকে তাকিয়ে চলতে হয়। আদর্শবান নেতা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনে তোমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’

ছাত্রলীগ বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই ঐতিহ্যের কথা মনে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন।