Home অন্যান্য মিরপুরে ৪৯ বছর পর সড়ক দখলমুক্ত

মিরপুরে ৪৯ বছর পর সড়ক দখলমুক্ত


স্বাধীনতার পর থেকেই মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক ছিল দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। অবশেষে দীর্ঘ ৪৯ বছর পর সড়কটি দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সড়কটি দখলমুক্ত হওয়ায় মিরপুর এলাকা থেকে সহজেই এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরার দিকে যাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ৪৯ বছর ধরে এ রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের হাতে ছিল। অনেকবার চেষ্টা করার পরও দখলমুক্ত করা যায়নি। যে সড়কটি আমরা দখলমুক্ত করলাম, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরার দিকে যাওয়ার জন্য আগে মাত্র একটি সড়ক ছিল, কালশী সড়ক। কালশীর সঙ্গে এখানে আরেকটি প্যারালাল রোড হতে চলছে। এটি সর্বোচ্চ ৭৫ ফুট এবং সর্বনিম্ন ৬০ ফুট চওড়া হবে। উচ্ছেদ শেষের পর আমরা এখানে মার্ক করে দেব। মিরপুর-১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে এটি দুই কিলোমিটার সড়ক হবে। এ উচ্ছেদ চলমান থাকবে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া মিরপুর সেকশন ১১-এর এভিনিউ ৩-এর ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালিত হয়। ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম সফিউল আজম এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলা অভিযানে ৪ নম্বর সড়কের দুপাশে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এর আগের দিনও একই সড়কে চার শতাধিক স্থায়ী, অস্থায়ী, ভাসমান স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। অভিযানকালে মেয়র আতিকুল উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দেন। এ সময়

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখন সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুর্নীতি এবং অবৈধ দখলদারদের জন্য জিরো টলারেন্স। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ঢাকা শহর উপহার দিতে, নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।

দখলদারদের হুশিয়ার করে মেয়র বলেন, যারা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে আছেন, তারা দয়া করে নিজেরা সরে যান। তাদের আমি কোনো ধরনের নোটিশ দেব না। যাব এবং অবৈধ দখল ভেঙে দেব। অভিযান সফল করায় মেয়র আতিক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ধন্যবাদ জানাই এ এলাকার জনগণকে, তারা সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলররাও আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অভিযানে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছেন।

অভিযানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।