বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেক্স: গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের গবেষণা জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনমন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান সিন্ডিকেট। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষক সামিয়া রহমান।
দেশের একটি বেসরকারী টেলিভিশনকে জানান, সিন্ডিকেট সভার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন। কারণ আদালত ডকুমেন্ট দেখবে, শিক্ষক রাজনীতির নোংরা খেলা খেলবে না আদালত।
সামিয়া রহমান বলেন, ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে আমি থিসিস জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত না। এরপরও আমাকে ঢাবির সিন্ডিকেট দোষী সাব্যস্ত করেছে। আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তদন্ত শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন ড. সাদেকা হালিম আমাকে বার বার (সামিয়া) দোষী সাব্যস্ত করেন। অথচ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে- আমার দোষ নেই। আমি দোষী হলে অ্যাডিটোরিয়াল বোর্ডকেও দোষী করতে হবে। মারজান তদন্ত কমিটির কাছে বারবার নিজের দোষ স্বীকার করে বলেছেন, সে অসাবধানতা ভুল করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সামিয়া রহমানসহ আরো দুই শিক্ষককে শাস্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। অন্য দু’জন শিক্ষক হলেন- অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ওমর ফারুক।
জানা গেছে, গবেষণা নকল করার অভিযোগে প্রায় চার বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম ‘সিন্ডিকেট’। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়াও একই অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুকের ডিগ্রি বাতিল করা হয়। তার শাস্তির ব্যাপারেও ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। এবং অবশেষে বৃহস্পতিবার ওই তিন শিক্ষকের পদাবনতি করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদকঃ আশিক সরকার
Copyright © 2024 Bporikromanewsbd.com. All rights reserved.