Home অর্থনীতি সাধারণ বিমার এজেন্ট কমিশন বাতিল হচ্ছে ১ মার্চ থেকে কার্যকর

সাধারণ বিমার এজেন্ট কমিশন বাতিল হচ্ছে ১ মার্চ থেকে কার্যকর


সাধারণ বিমা কোম্পানির এজেন্ট কমিশন বাতিল করে নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। ফলে ব্যবসা অর্জন বা বিমা পলিসি বিক্রির বিপরীতে এজেন্টদের কোনো ধরনের কমিশন দেয়া যাবে না। আগামী ১ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেনের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এজেন্ট কমিশন শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করায় সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মুনাফা বড় অংকে বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, ১৫ শতাংশ কমিশন এজেন্টদের জন্য নির্ধারিত থাকলেও কোম্পানিগুলো মূলত এটি গ্রাহকদের দিতো। এতে কোম্পানিগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলে। কমিশন এজেন্ট তুলে দেয়ার কারণে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর মুনাফা বেড়ে যাবে।

নির্দেশনায় আইডিআরএ জানিয়েছে, ‘নন-লাইফ বিমা খাতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও কমিশন বিষয়ে শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হচ্ছে না বিধায় এ খাতে শৃঙ্খলা আনয়নের স্বার্থে বিমা আইন, ২০১০ এর অধীনে বিমা এজেন্ট নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রবিধানমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত নন-লাইফ বিমা খাতে কমিশন সংক্রান্ত বিষয়ে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হলো। নন-লাইফ (সাধারণ) বিমা খাতে ব্যবসা অর্জন বা সংগ্রহের বিপরীতে ১৫ শতাংশ বিমা এজেট কমিশন প্রদান সংক্রান্ত সার্কুলার (নং নন-লাইফ ৩২/২০১২, তারিখ ১ এপ্রিল ২০১২) এবং নন-লাইফের কমিশন হার সংক্রান্ত জারি করা অন্য নির্দেশনাবলী পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।

নন-লাইফ বিমা খাতে ব্যবসা অর্জন বা সংগ্রহের বিপরীতে বিমা এজেন্ট কমিশন ১৫ শতাংশের পরিবর্তে শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধা কর্মকর্তাদের সংগ্রহ করা প্রিমিয়ামের শতকরা হারে দেয়া যাবে না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাদে সকল উন্নয়ন কর্মকর্তার নিয়োগপত্রে সংশ্লিষ্ট বিমাকারীর পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা উল্লেখ ও প্রদান করতে হবে।

সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধা কর্তৃপক্ষের সার্কুলার (নন-লাইফ ৬৪/২০১৯)-এর তিন নম্বর দফায় উল্লেখ করা ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত ব্যাংক হিসাব থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার বা অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে দিতে হবে।

উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা ও অন্য সুবিধা সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত ছকে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। আইডিআরএ-এর এই নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, সাধারণ বিমার এজেন্ট নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রবিধানমালা এখনো হয়নি।

যেহেতু এজেন্ট নিয়োগ সংক্রান্ত প্রবিধানমালা নেই, সে কারণেই হয় তো আইডিআরিএ এই কমিশন তুলে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৫ শতাংশ কমিশন এজেন্টদের জন্য নির্ধারিত হলেও এটা আসলে গ্রাহকরা নিয়ে যেত। এখন এজেন্ট কমিশন শূন্য শতাংশ করায় সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মুনাফা বেড়ে যাবে। কমিশনের টাকা কোম্পানিতে থেকে যাবে।