Home ক্যাম্পাস খবর বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ‘শোষণবিরোধী মিছিল’ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ‘শোষণবিরোধী মিছিল’ অনুষ্ঠিত


১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিরাজমান সকল শোষণ গুঁড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ‘শোষণবিরোধী মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, শিক্ষা অধিকার চত্ত্বর, নূর হোসেন চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের দুই শতাধিক নেতাকর্মী শাহবাগ মোড়ে একত্রিত হয়ে মিছিলটি শুরু করেন। এসময় তারা অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়ন, রাষ্ট্রায়ত্ত কলকারখানা বেসরকারিকরণ, ও শোষণের বিরুদ্ধে স্লোগানসম্বলিত ব্যানার বহন করেন। মিছিল শহীদ মিনারে পৌঁছালে “তুই ধর্ষক” শীর্ষক ফ্ল্যাশ মব প্রদর্শিত হয়। এরপর ছাত্র ইউনিয়ন পুনরায় মিছিল নিয়ে শিক্ষা অধিকার চত্ত্বরে পৌঁছায় এবং সেখানে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নানাবিধ সংকট নিয়ে বক্তব্য দেন সংগঠনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি। তিনি বলেন, “আজকের বাংলাদেশে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা তো নেইই, উপরন্তু সন্তানকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও বৈষম্যের স্বীকার হন তারা। এই রাষ্ট্রে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পর্যন্ত নেই। জনগণের করের টাকায় বেতন হয় যে আমলাদের, তারা আজ রাজনীতিকদের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে।”  মিছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার অতিক্রম করার সময় কর্মীদের “বাহ পুলিশ চমৎকার, ধর্ষকদের পাহারাদার” স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। নূর হোসেন চত্ত্বর অতিক্রমণকালে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার স্লোগান উচ্চারিত হয়। সবশেষে নেতাকর্মীরা পুরানা পল্টন মোড়ে সমবেত হয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অংশগ্রহণকারী ইউনিটগুলোর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ শহর সংসদের সভাপতি পরমা পৃথ্বী বলেন, “এই সময়ে মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতাকে জয় করার লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ হবে এই মিছিল। রাষ্ট্র ও সমাজে বিদ্যমান প্রত্যেকটা সংকট পরস্পরের সাথে জড়িত, কোনোটাই বিচ্ছিন্ন নয়। তাই এই শোষণ বিরোধী মিছিল কোনো একটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়নি, হয়েছে সকল শোষণের বিরুদ্ধে যূথবদ্ধ প্রতিবাদ হিসেবে। শোষণ একটা সামগ্রিক বিষয়। তা স্রেফ নানা রূপে আমাদের সামনে আবির্ভূত হয়। তার বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র কার্যকর উপায় যাবতীয় লাঞ্ছিতকে এক পতাকার নিচে আনা।”
শ্রমিক, নারী, ছাত্র, জনে জনে জনতা, গড়ে তুলো একতা।
ফুক্কা কুল্লে নিজামিন (বিরাজমান সকল শোষণ গুড়িয়ে দাও।)