Home ব্রেকিং পানির জন্য দেশে এখন মিছিল মিটিং হয় না: এলজিআরডি মন্ত্রী

পানির জন্য দেশে এখন মিছিল মিটিং হয় না: এলজিআরডি মন্ত্রী


চট্টগ্রাম: ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ইং, শনিবার। দেশের মানুষকে পানির জন্য এখন আর আন্দোলন অথবা মিছিল-মিটিং করতে হয় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

আজ চট্টগ্রামে হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীন ‘পতেঙ্গা বুষ্টিং পাম্প ষ্টেশনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলে হালিশহর, সিডিএ তে পানির জন্য হাহাকার ছিল। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে চট্টগ্রাম শহরের মানুষ এখন পানি পাচ্ছে। পানির জন্য আন্দোলন-মিছিল করতে হয় না। দেশে কোন পানির সংকট নেই।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় গ্রহণের আগে বন্দরনগরীতে জনগণ নিরাপদ সুপেয় পানি সংকটে ভুগেছে জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩৬ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে চট্টগ্রাম ওয়াসা তখন ১৩-১৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার চট্টগ্রামে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা বাস্তবায়ন করেছে। আজকে সারা চট্টগ্রাম পানি পাচ্ছে।

চট্টগ্রামের মেয়রের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলে, শুধু মেয়র নয় চট্টগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সব দায়িত্ব একজনকে চাপিয়ে দিলে হবে না।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কিন্তু এই অগ্রাধিকারের সুযোগ আপনাদের কাজে লাগাতে হবে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গেটওয়ে। নদীর আশেপাশে আবর্জনা পড়ে থাকছে, জায়গা ইজারা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি করে দখল করা হচ্ছে। যা কখনোই কাম্য নয়। এটি কোনো দস্যুর দেশ নয়।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে কাফবো,সিইউএফএল, কোরিয়া ইপিজেড,চায়না ইকোনোমিক জোন ইত্যাদি শিল্প-কারখানায়সহ পটিয়া, আনোয়ারা এবং বোয়ালখালী এলাকায় জনগণের পানির চাহিদা মিটানোর জন্য প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ৬ কোটি লিটার ক্ষমতার ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলমান। আশা করি প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুন মাসের শেষ করার কথা থাকলেও এর আগেই শেষ হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, বোয়ালখালীর সংসদ সদস্য মোসলেস উদ্দিন, চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের এমপি আবু রেজা নদভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন।

উল্লেখ্য, পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশনটির মাধ্যমে নগরের দক্ষিণাংশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠির নিকট পানি পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর ইপিজেড এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনার বিশাল জনগোষ্ঠির চাহিদা মিঠানো সম্ভব হবে। এই বুস্টার মেশিনের মাধ্যমে দৈনিক ৪ দশমিক ৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এর আগে, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক বাস্তবায়ণাধীন রাঙ্গুনিয়া শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।