Home ব্যাংক-বীমা আইডিআরএ’র অনুমতি চেয়ে চিঠি ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতিতে ব্যবসা চালাতে চায় আস্থা লাইফ

আইডিআরএ’র অনুমতি চেয়ে চিঠি ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতিতে ব্যবসা চালাতে চায় আস্থা লাইফ


ব্যাংকাসুরেন্স মানে ব্যাংকের দ্বারা মানুষকে বীমা গ্রহীতার করার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মালিকানাধীন আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এজন্য অনুমোদন চেয়ে গত মার্চে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএতে চিঠি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমনটাই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

সূত্র জানায়- বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে একটি। এখানে মানুষের মাথাপিছু আয় প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর্থিক খাতেও পড়ছে এই প্রভাব। আস্থা লাইফ জনগণের দোড়গোড়ায় বীমা সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। দেশের বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠি ব্যাংকিং সেবার আওতাভুক্ত। কিন্তু সে অনুযায়ী বীমা সেবার আওতাভুক্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নিতান্তই কম। এক্ষেত্রে বীমাকে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর নিকট পৌঁছে দিতে ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। উন্নত বিশ্বে আধুনিক বিপণন ব্যবস্থাপনার মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এমনকি আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপালে বহু আগে থেকেই এই পদ্ধতি চলে আসছে। তাছাড়া জাতীয় বীমা নীতি-২০১৪ তে এই পদ্ধতির বিশেষ প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ রয়েছে বলে জানানো হয়।

ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতিতে কার্যক্রম চালানোর কারণ উল্লেখ করে সূত্র জানায়-দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে বীমা সেবা পৌঁছে দেয়া, বীমা শিল্পকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মোকাবেলায় সক্ষম করা এবং আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা হিসেবে এই পদ্ধতিতে চালু করতে চায় আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এক্ষেত্রে পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন চায় প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আবদুল মান্নান বলেন- ব্যাংকাসুরেন্স পদ্ধতি একটি আধুনিক পরিকল্প। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করে সফল হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সে ধারণা থেকেই আমারাও এটা চালু করতে আইডিআরএ অনুমতি চেয়েছি। আমাদের মতো আরো অনেক বীমা কোম্পানিও অনুমোদনের জন্য আইডিআরএকে চিঠি দিয়েছে।
এক্ষেত্রে সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন-অনেকদিন আগে আমরা এ বিষয়ে আইডিআরএ’র কাছে চিঠি দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে আমাদের আগের সিইও স্যার পরিবর্তন হয়ে নতুন সিইও স্যার এসেছেন। কিন্তু আইডিআরএ এখনও বিষয়টি নিয়ে কোন কিছু জানায়নি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণেই হয়তো তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই মনে করছি।