Home আন্তর্জাতিক আফগানিস্তানের নাম বদলে দিচ্ছে তালেবান!

আফগানিস্তানের নাম বদলে দিচ্ছে তালেবান!


এবার আফগানিস্তানের নাম বদলে দিচ্ছে তালেবান। দেশটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান’।

শিগগিরই দখল করে নেওয়া কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে এই ঘোষণা দেবেন তালেবান নেতারা।

এদিকে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তালেবানকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।

রাজধানী কাবুল ‘পতনের’ মুখে তিনি পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নেন। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আশরাফ গনি। অবশ্য, তিনি দাবি করেছেন, রক্তবন্যা এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে গনি লেখেন, ‘রক্তবন্যা এড়ানোর জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই ভালো বলে মনে হয়েছিল।’

যিনি ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আফগান সরকারের আলোচনার মধ্যে নিজের কয়েকজন অনুগতদের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। নাম গোপন রাখার শর্তে দুই আফগান কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মোহিব এবং এক ঘনিষ্ঠ আছেন তার সঙ্গে। তবে কোথায় গিয়েছেন তিনি, সে বিষয়ে কিছু জানাননি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি তাজিকিস্তানে গেছেন।

আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, তাজিকিস্তানে গিয়েছেন গনি। পরে গনির ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা জানিয়েছে, উজবেজকিস্তানের তাশকন্দে গিয়েছেন আফগান রাষ্ট্রপতি। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী, চিফ অব স্টাফ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

এদিকে, আফগান রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে পালানোর পরই কাবুলে ঢুকে পড়ে তালেবান। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির দুই শীর্ষ কমান্ডার দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদের দখল নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী, মধ্যরাতের কাছাকাছি যে আল-জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে যে ফুটেজ দেখানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে যে কাবুলে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে ভিড় করে আছে অসংখ্য তালেবান নেতা।

একটি সংবাদসংস্থা তালেবানদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শিগগিরেই রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ থেকে ‘ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান’-এর ঘোষণা করা হবে।

এরমধ্যেই গনি বলেছেন, “তলেয়ার এবং বন্দুকের লড়াইয়ে জিতে গিয়েছে তালেবান।”

সঙ্গে যোগ করেন, “ওরা এখন ঐতিহাসিক পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছে। ওরা আফগানিস্তানের মান-সম্মান রক্ষা করবে বা অন্যান্য জায়গা বা নেটওয়ার্ককে গুরুত্ব দেবে, সেটাই এখন দেখার।”