Home জাতীয় –রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ অবৈধ ভিওআইপি চক্রের ০১...

–রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ অবৈধ ভিওআইপি চক্রের ০১ সদস্য গ্রেফতার


র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, খুনী, ধর্ষক, দেশাদ্রোহী, সাইবার অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়াও র‌্যাব ভিওআইপি ব্যবসার মাধ্যমে সরকার তথা দেশের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র‌্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র‌্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিঃ তারিখ আনুমনিক ১৩:৩০ ঘটিকা থেকে ১৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব-১০ ও বিটিআরসি এর সমন্বয় যৌথ আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানাধীন ৭০/ডি-৩ ইন্দ্রিরা রোড এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ভিওআইপি এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ ব্যবসা চক্রের ০১ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ শামসুজ্জামান (২৬) বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ০৯ টি মোবাইল ফোন, ০১টি সিপিইউ, ০৯ টি মোবাইল চার্জার, ০১ টি কী-বোর্ড, ১৫০ পিস কলিং কার্ড (মূল্য- ০১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা), ০১ টি মাউস, ০১ টি এসি অ্যাডাপ্টর, ০১ টি মনিটর, ০১ টি বিভিন্ন ডকুমেন্ট ফাইল ও ০১টি মনিটর স্ট্যান্ড উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারকে প্রদেয় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ এর ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত পারস্পরিক যোগসাজসে ও সহযোগিতায় সফ্টওয়্যার ভিত্তিক সুইচ এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান এবং উক্ত স্থাপনা পরিচালনা করার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রদেয় রাজস্ব/চার্জ ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফ্টওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ ভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করত। এর ফলে চক্রটি গত দেড় বছরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বর্তমান আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট অনুযায়ী প্রায় ০৪ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।