Home ক্যাম্পাস খবর প্রতিদিন দেড় হাজার হলে দুই লাখ শিক্ষার্থী টিকা পাবে কবে!

প্রতিদিন দেড় হাজার হলে দুই লাখ শিক্ষার্থী টিকা পাবে কবে!


ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুইলাখ। ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ কার্যক্রম। মেয়াদ ছিলো ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের চাহিদার উপর আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে টিকা গ্রহণের সময়। গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজার করে শিক্ষার্থীকে টিকা দিচ্ছে। সে হিসেবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে। তাহলে বাকি শিক্ষার্থীরা কি টিকা পাবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে সাত কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গণটিকায় অংশ নিয়েছে যার ফলে সব শিক্ষার্থীই টিকা পাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্র পড়েছে মহাখালি ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতলে। এখানে প্রতিদিন দেড় হাজার করে শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারছেন। তবে শিক্ষার্থীর তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন টিকা নিতে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে তাদের। টিকা নিতে গিয়ে ফিরে আসার কারণগুলোর মধ্যে হলো,অধিক শিক্ষার্থী আর টিকা নির্দিষ্ট(দেড় হাজার), টিকা নিবন্ধনে সুরক্ষা সাইটে সমস্যা, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা, জন্মনিবন্ধন না থাকা থাকলেও ডিজিটাল না হওয়ার মতো কারণ। আবার জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল থাকলেও নিবন্ধন করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের।

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সানজিদা আলম বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তবে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন আছে তবুও নিবন্ধন করতে পারছি না। টিকা কেন্দ্রে রেজিস্টেশন করা যায় শুনে টঙ্গি থেকে এসেছি। কিন্তু করতে পারছি না এবং টিকাও নিতে পারছি না। বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর টিকাই নিবো না। এতটা ভোগান্তি হবে জানলে আসতাম না।

কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, সুরক্ষা সাইটে জন্মনিবন্ধন দিয়ে রেজিষ্টেশন করা যায় বলে কলেজে থেকে জানিয়ে ছিল কিন্তু করতে পারছি না যার ফলে টিকাও নিতে পারছি না। দুইদিন এসে ঘুরে গেছি।

এ বিষয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক(ভারপ্রাপ্ত) ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য আমার সংবাদকে বলেন, সাত কলেজের প্রতিদিন ১৫০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হচ্ছে। যেহেতু শিক্ষার্থী বেশি সে বিবেচনায় আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সাত কলেজে যেহেতু দুই লাখ শিক্ষার্থী কিন্তু প্রতিদিন দেয়া হচ্ছে মাত্র দেড় হাজার শিক্ষার্থী তাহলে বাকি শিক্ষার্থীরা কি পাবে না? এমন জবাবে তিনি বলেন, সাত কলেজের অনেক শিক্ষার্থী গণটিকায় অংশ নিয়েছে যার ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই টিকা দিয়েছে। আর আমাদের এই কার্যক্রমে আশা করি সব শিক্ষার্থীই টিকা পেয়ে যাবে।

নিবন্ধন করতে না পারা ও টিকা নিতে গিয়ে ফিরে আসার নিয়ে তিনি বলেন,জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকা ও জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল না হওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ছে। তবে তারা যদি একটু চেষ্টা করে যে জন্মনিবন্ধন করে নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই কিন্তু পারবে যেহেতু সময় এখন বাড়ছে। আর টিকা নিতে গিয়ে ফিরে আসছে না পেয়ে এমনটা ঘটেনি। আমরা ডিএনসিসি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছি এমন ঘটনা হয়নি বলে তারাও বলেছে। এখন শিক্ষার্থীরা যদি নির্দিষ্ঠ সময়ে না যায় বার নিবন্ধন না করে টিকা নিতে যায় তাহলে ও তো ফিরে আসতেই হবে।

টিকার সংখ্যা দেড় হাজার থেকে আরও বাড়ানো যায় কিনা সর্ম্পকে তিনি বলেন, এখন দেড় হাজার টিকা দিচ্ছি। এখন যদি টিকার সংখ্যা প্রতিদিন তিন হাজার করি পড়ে দেখা গেলো শিক্ষার্থীই নেই তখন তো ঝামেলা।